অনুরাধা রায়
বাংলার নবজাগরণের সময়ের বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব বর্ণময় রাজা। উনিশ শতকের বঙ্গীয় রেনেসাঁসের কথা প্রসঙ্গে যেসব ব্যক্তির নাম উঠে আসে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন রাধাকান্ত দেব। এই সময়ে বাঙালি যে নব্যশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নবজাগরণকে তরান্বিত করতে পেরেছিল, তার নেপথ্যে ছিলেন এই রাধাকান্ত দেবের মতো মানুষেরা। রাধাকান্ত দেবের (raja radhakanta dev) জীবনী, তাঁর কাজ আরও বিস্তারিতভাবে জানতে চান প্রতিটি বাঙালি। বর্ণময় রাজার উত্তরসূরিই উদ্যোগ নিয়েছেন প্রত্যেকে তাঁর বিষয়ে জানাতে। শোভাবাজার রাজ পরিবারের তিরিশতম পুরুষ সৌমিতনারায়ণ দেব রাজা রাধাকান্ত দেবকে (raja radhakanta dev) নিয়েই লিখেছেন বই। প্রকাশলগ্নও আসন্ন। সতীদাহ রদ কিংবা বিধবাবিবাহ ইত্যাদি বিষয়ে তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন রাধাকান্ত। তাই তাঁকে নিয়ে লেখা বইটি প্রাকশিত হচ্ছে পিতৃপক্ষের অবসান অর্থাৎ মহালয়ার দিন। লেখক জানিয়েছেন, বইয়ের তথ্যগুলির ইংরেজি অনুবাদও হয়েছে। অনুবাদ করেছেন সিদ্ধার্থ এস কুমার। তথ্যগুলি নিয়ে ছবি এঁকেছেন প্রবীরকৃষ্ণ দেব। রাজার লেখার আগ্রহ জন্মাল কবে থেকে? প্রশ্ন করতেই সৌমিতবাবু উত্তর দিলেন, এটি আমার দ্বিতীয় বই। খুব ছেলেবেলা থেকেই মূল আকর্ষণ পুরনো কলকাতার ইতিহাস চর্চায় এবং তার সঙ্গে নিজের বাড়ির ইতিহাস জানার চেষ্টা ছিল আমার। শেঠ আনন্দরাম জয়পুরিয়া কলেজ থেকে বাণিজ্য নিয়ে পড়াশোনা করেছি। একটি ব্রিটিশ বহুজাতিক সংস্থায় যোগ দিয়েছিলাম। কর্পোরেট পরিবেশে কাজ করেছি দীর্ঘ ১৫ বছর। অবসরের পর পারিবারিক ইতিহাস নিয়ে আরও বেশি নাড়াচাড়া এবং পড়ালেখা শুরু করি। শোভাবাজার রাজবাড়ির বর্ণময় ইতিহাস উত্তরাধিকার সূত্রে যার অনেকটাই খুব কাছ থেকে পাওয়া আর একবারে ভিতর থেকে দেখা। বর্ণময় স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের এই বইটির কথাগুলি পাঠককে আনন্দ ও বেদনার স্মৃতিমেদুরতায় ভরিয়ে রাখবে এটাই বিশ্বাস।
আরও পড়ুন-শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনীসভা পাশে থাকার বার্তা ঋতব্রতর