প্রতিবেদন : বাংলা সব সময়ই মহিলাদের স্বনির্ভর হওয়ার কথা বলে। এবার সেই চিন্তাভাবনাকেই নিজেদের পুজোর থিম হিসেবে ফুটিয়ে তুলতে চলেছে উত্তর কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব রামমোহন সম্মিলনী। তাঁদের এবছরের ভাবনা ‘সম্পন্না’। যেখানে বাংলার স্বনির্ভর নারীদের শিল্পকথা ফুটিয়ে তোলা হবে। বরাবরই অভিনব থিমের চমক দেয় উত্তর কলকাতার এই ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাবে আয়োজিত থিম প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা, বন দফতর তথা রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ-সহ ক্লাবের সভাপতি শ্যামল দত্ত, সহ-সভাপতি অয়ন চক্রবর্তী-সহ অন্যরা। এবারের এই অভিনব থিম কুণাল ঘোষের মস্তিষ্কপ্রসূত।
আরও পড়ুন-বিচার চেয়ে আগামিকাল থেকে ফের রাস্তায় তৃণমূল
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, দুর্গাপুজো ধর্ম আর উৎসবের মেলবন্ধন। দুর্গোৎসব একদিকে যেমন শিল্পের কথা বলে পাশাপাশি এই মহোৎসবকে কেন্দ্র করে একটা বিকল্প অর্থনীতি গড়ে ওঠে বাংলার বুকে। রামমোহন সম্মিলনী সেই ধারাকে বিগত বছরগুলিতে বহন করেছে। কখনও এই পুজোতে জঙ্গলের মহিলাদের গল্প উঠে এসেছে কখনও মৎস্যজীবী পরিবারের সংগ্রামের কথা পুজোর থিম হিসেবে স্থান পেয়েছে। আগে একটা সময় বাংলার মহিলাদের হাতে নানা জিনিস উৎপাদন হত। কিন্তু বর্তমানে বাংলার সরকার বিপণনের সমান সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি জানান এই মুহূর্তে সরকারে থাকা তৃণমূল কংগ্রেস এমন একটি দল যারা মহিলাদের সবথেকে বেশি সম্মান করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিমুহূর্তে নারী উন্নয়নের দিকে সজাগ দৃষ্টি দিচ্ছেন। সেই কারণে কাউন্সিলর থেকে পঞ্চায়েত সদস্য হোক বা বিধায়ক-সাংসদ তৃণমূল সরকারের মহিলা আধিক্য বারবার নারীশক্তির জয়গান গেয়েছে। শশী পাঁজা বলেন, বাংলার সচেতন নারীর স্বনির্ভরতার কথাই তুলে ধরছে এ বছরের থিম সম্পন্না।