মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় ঠাঁই পেয়েছে কাটোয়ার ডিডিসি গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী সামরিন আখতার। রাজ্য সরকারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দিদির সঙ্গে কলকাতা গিয়েছিল বোন রাইসা। মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে ওঠার সময় রাইসাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি কোন ক্লাসে পড়ো? দিদির মতো তোমাকেও মাধ্যমিকে ভাল ফল করতে হবে।’ মুখ্যমন্ত্রী কথা বলায় আহ্লাদে আটখানা খুদে রাইসা। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে মুগ্ধ মেধাতালিকায় থাকা কাটোয়ার ২ কৃতী দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য ও সংযুক্তা বিশ্বাস। সুবোধ স্মৃতি রোডের বাসিন্দা নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের দেবজ্যোতি এবার মাধ্যমিকে রাজ্যে অষ্টম হয়েছে। বেড়া গ্রামের বাসিন্দা দাঁইহাট হাইস্কুলের ছাত্রী সংযুক্তা উচ্চমাধ্যমিকে অষ্টম। কলকাতার বিশ্ববাংলা মেলাপ্রাঙ্গণে রাজ্যের বিভিন্ন বোর্ডের কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতি জেলার কৃতীদের জন্য ছিল আলাদা টেবিল। একই জেলা বলে কাছাকাছি ছিল দেবজ্যোতি-সংযুক্তা। দুজনেই অভিভূত, ‘মুখ্যমন্ত্রী সকলের সঙ্গে কথা বললেন, খোঁজ নিলেন। সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেন।’ দুজনেরই মনে হয়েছে, ‘উনি আমাদের ঘরের মায়েদের মতোই। একেবারে সাধারণ শাড়ি পরেন। কী সুন্দর ব্যবহার!’ দেবজ্যোতির লক্ষ্য ডাক্তারি। সংযুক্তা শিক্ষিকা হতে চান। মুখ্যমন্ত্রী পাশে থাকবেন জেনে আশ্বস্ত দুজনেই। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হলে তা লিখে স্কুলশিক্ষা দফতরগুলিতে রাখা ড্রপ বক্সে ফেলতে হবে। এই সিদ্ধান্ত মনে ধরেছে কৃতীদের। তাদের কথায়, ‘এর থেকে ভাল আর কী হতে পারে?’ দেবজ্যোতির বাবা গণিতশিক্ষক দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, ‘বড় পরীক্ষায় বড় সাফল্যকে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে উৎসাহিত করলেন, তা ওদের ভবিষ্যতের পাথেয়।’ রাজ্যের কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে থাকা শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা আপ্লুত। সকলের মতে, এমন মানবিক মুখ্যমন্ত্রী দেখা যায় না।