প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্রান্ত নীতিতে মূল্যবৃদ্ধির জেরে প্রাণ ওষ্ঠাগত সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। ছাড় পায়নি কৃষিক্ষেত্রও। সার, কীটনাশক সহ চাষেরও প্রতিটি সরঞ্জামের দাম বেড়েছে। এই অবস্থায় কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে বড় পদক্ষেপ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এক ধাক্কায় ধানের সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ১০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করলে কৃষকরা ধানের দাম প্রতি কুইন্টাল ১৯৪০ টাকার বদলে ২০৪০ টাকা করে পাবেন।
আরও পড়ুন-মোদিকে ভেবে বিজেপি বিক্রি করুক চা
আগামী মরশুমে কৃষকদের কাছ থেকে ৩৪ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে বলে কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চাষিদের সুবিধার জন্য রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ক্রয়কেন্দ্রগুলি থেকে ৩৪ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। এছাড়া ডব্লুবিইসিএসসি, বেনফেড, কনফেড, নাফেডের মতো সংস্থাগুলিও প্রতিটি জেলায় ক্যাম্প করবে। এছাড়াও চাষিদের সুবিধার জন্য মোবাইল ভ্যানে করে ধান কিনবে সরকার। ডব্লুবিইসিএসসি ১৪ লক্ষ মেট্রিক টন চাষিদের কাছে থেকে কিনবে। বেনফেড ৪ লক্ষ ৫০ হাজার, কনফেড ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনবে। রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, রাজ্য সরকার সবসময় চাষিদের পাশে থাকে। ধানের দাম বৃদ্ধির ফলে চাষিদের সুবিধা হবে। প্রত্যেক জেলাকেই ধান কেনার টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-প্রবাসে মা দুর্গা আসেন আপনজন হয়েই
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর রাজ্যে ৫৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সরকার কিনবে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় সবচেয়ে বেশি ধান কেনা হবে। এছাড়া হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলিতেও অনেক বেশি ধান কেনা হবে। পূর্ব বর্ধমান জেলার ফুড কন্ট্রোলার অসীম নন্দী বলেন, পূর্ব বর্ধমানে ৬ লক্ষ ৯০০ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। এছাড়া বাঁকুড়ায় ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, হুগলি জেলায় ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন, বীরভূমে ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। পূর্ব মেদিনীপুরে ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন, মুর্শিদাবাদে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৬০০, পুরুলিয়ায় ২ লক্ষ ৪ হাজার ২০০, উত্তর দিনাজপুরে ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে।