প্রতিবেদন : শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেল ইডি। সুপ্রিম কোর্ট ইডিকে সোমবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশযাত্রা আটকানো উচিত হবে না। চোখের চিকিৎসার জন্য প্রায় ২৪ দিন আমেরিকায় থাকতে চান অভিষেক। ৮ অগাস্ট বিকেলে সেখানে চোখের চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে তাঁর। ২৬ জুলাই থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত তাঁর সফরসূচির কথা ইডিকে চিঠি দিয়ে জানানো সত্ত্বেও কোনও উত্তর আসেনি। সোমবার হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে তিনি বিস্তারিতভাবে জানান পুরো বিষয়টি। তাঁর বিদেশযাত্রা আটকানোর সম্ভাবনার আশঙ্কা জানিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় সুপ্রিম কোর্টেরও।
আরও পড়ুন-চলে গেলেন সহজিয়া বাউল গানের সাধক
এরই প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত ইডিকে বুঝিয়ে দিল অভিষেকের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়া অনুচিত। এদিন সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিশ জারি করা নিয়েও বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়ে ইডি। রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কেন লুক-আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে, ইডির কাছে জানতে চাইল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশযাত্রা করে সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফিরে আসা সত্ত্বেও এই লুক আউট নোটিশের অর্থ কী? রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদেশে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে কোন যুক্তিতে? কেন বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছে তাঁকে?
আরও পড়ুন-ফের নিশীথের এলাকায় আক্রান্ত তৃণমূল
সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে না পেরে এদিন সময় চেয়ে নেয় ইডি। কিন্তু বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সামনের শুক্রবারই আদালতে এর জবাবদিহি করতে হবে ইডিকে। বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কউলের বেঞ্চে এদিন শুনানি হয় এই মামলার। রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বিনা কারণে তাঁকে বিদেশে যেতে বাধা দিচ্ছে ইডি। সুপ্রিম কোর্টে তাঁর বক্তব্য, ইডি দীর্ঘদিন তদন্ত চালালেও আগে বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়া হয়নি তাঁকে। কিন্তু সম্প্রতি কোনও কারণ ছাড়াই আটকানো হচ্ছে তাঁকে। এ বিষয়ে বিচারপতি এদিন ইডিকে প্রশ্ন করেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে তদন্ত করতে বাধা কোথায়? সবমিলিয়ে গভীর অস্বস্তিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।