প্রতিবেদন : লোকসভা নির্বাচনের মুখে হিমাচল প্রদেশে জোরালো ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। বিজেপির প্রলোভনের ফাঁদে পা দেওয়া ৬ বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কের পদ খারিজের সিদ্ধান্ত বহাল রাখল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। হিমাচল বিধানসভার অধ্যক্ষ কুলদীপ সিং পঠানিয়া এই ৬ বিধায়কের পদ খারিজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ৬ জন। কিন্তু বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই ৬ শূন্য আসনে উপনির্বাচন ঘোষণা করে শনিবার নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশিকা জারি করেছে তাও বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই নির্দেশে গেরুয়া শিবির তো বটেই, রীতিমতো বিপাকে পড়ে গেলেন বিদ্রোহে উসকানিদাতা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের পুত্র বিক্রমাদিত্য এবং তাঁর মা হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী প্রতিভা সিং। কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দার সিং সুখোকে সরিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কুর্সি দখলের স্বপ্ন দেখেছিলেন মা-ছেলে। ৬ বিধায়ককে বিদ্রোহে উসকানি দিয়ে গেরুয়া শিবিরের দিকে পা বাড়িয়েছিলেন সকলে মিলে।
কেমন করে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা হয়েছিল হিমাচলে কংগ্রেস সরকার ফেলার চক্রান্ত? বিদ্রোহী ওই ৬ বিধায়ক রাজ্যসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর পক্ষে ক্রস ভোটিং করে হারিয়ে দিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভিকে। এরপরেই বিজেপি দাবি করে, বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে কংগ্রেস। বিজেপির দাবিমতো ফ্লোর টেস্ট বা মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে আস্থাভোটেও বিপক্ষের অবস্থান নিয়েছিলেন ওই ৬ বিদ্রোহী। সুখবিন্দর সিং সুখুর সরকারের বাজেট প্রস্তাব বিষয়ক অর্থবিলের পক্ষেও ভোট দেননি ৬ বিদ্রোহী। এই কারণেই দলত্যাগ বিরোধী আইনে ওই ৬ জনের বিধায়ক পদই খারিজ করে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। লক্ষণীয়, এই ৬ জনের নেপথ্যেই ছিল বিজেপি এবং বিক্রমাদিত্যের স্পষ্ট মদত।
আরও পড়ুন: ভুয়ো খবরের দাপট বেড়েছে ফেকুবাবুদের জমানায়