২৬ জানুয়ারিই ছিল হামলার প্ল্যান, এমনটাই উঠে এল ফরিদাবাদ মডিউলে ধৃতকে জেরায়। ১০ নয়, ভারতের আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসই ছিল সেই দিন যেদিন দিল্লির প্রাণকেন্দ্রকে কাঁপিয়ে দেওয়ার ছক কষা হয়েছিল। প্ল্যান মাফিক চলেছিল লালকেল্লায় রেকিও। আল ফালাহ মেডিক্যাল থেকে ধৃত চিকিৎসক মুজাম্মিলকে জেরা করেই উঠে এসেছে এমনই এক ভয়ানক বিষয়।
আরও পড়ুন-দিল্লিকাণ্ডে অধরা ১০টি প্রশ্নের উত্তর
প্রসঙ্গত, ফরিদাবাদে দুটি বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন মুজাম্মিল। তার মধ্যে ধোজ এলাকার একটি বাড়িতে প্রায় ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল। ওই বাড়ির মালিককে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মুজাম্মিল ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত দু’মাসের জন্য একটি ঘর ভাড়া নেন। প্রতি মাসে ১ হাজার ২০০ টাকা হিসেবে ২ হাজার ৪০০ টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু যেদিন নিজের জিনিসপত্র রেখে গিয়েছিলেন তারপর আর মুজাম্মিল ওই ঘরে আসেননি। ভাড়ার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার দিন দুয়েক আগে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। উদ্ধার হয় বিপুল পরিমান বিস্ফোরক।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণে যুক্ত চিকিত্সক উমর মহম্মদের সঙ্গে মুজাম্মিলের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। দুজনই কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা। ফরিদাবাদে বিশাল পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধারের খবর পেয়ে পালিয়ে যান উমর। এরপর লালকেল্লার কাছে এসে বিস্ফোরণ ঘটান তিনি। মুজাম্মিলের ডেরা থেকে বেশিরভাগই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট জাতীয় বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল। লালকেল্লার সামনেও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ফুয়েল অয়েল ব্যবহৃত হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

