জুনিয়র ডাক্তারদের দেওয়া কথা রাখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল বৈঠকে রাজ্যস্তরে টাস্ক ফোর্স (Task Force) গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন, মঙ্গলবার দুপুর তিনটের মধ্যে টাস্ক ফোর্সের এসওপি পাঠিয়ে দেবেন। কথা রেখেই তাঁদের দাবি মেনে ১১ জনের টাস্ক ফোর্স গঠন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন।
মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে এই টাস্ক ফোর্স (Task Force) গঠন করা হয়েছে। ১১ জনের কমিটিতে নেতৃত্বে রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের প্রিন্সিপাল সচিব, কলকাতার পুলিশ কমিশনার। ডাক্তারদের তরফে থাকছেন ২ জন সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার, ২ জুনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার, রাজ্যস্তরের গ্রিভান্স সেলের এক প্রতিনিধি এবং ডাক্তারি পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে এক ছাত্রী।
এই টাস্ক ফোর্সের কাজ:
* স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মজবুত করা।
* মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সিসিটিভি বসানো।
* ডাক্তারদের জন্য আলাদা শৌচাগার-ডিউটি রুম তৈরি।
* পানীয় জলের ব্যবস্থা।
* মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তায় পুলিশ-নিরাপত্তারক্ষী ও নজরদারি মোবাইল ভ্যান মোতায়েন সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত।
* কেন্দ্রীয় হেল্পলাইন ও প্যানিক বাটন বাস্তবায়ন।
* কেন্দ্রীয় রেফারেল সিস্টেম ও রিয়েল টাইম কত বেড ফাঁকা আছে, তা জানানোর পরিকাঠামো বাস্তবায়ন।
* মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অভ্য়ন্তরে থাকা সিকিওরিটি অডিট কমিটি ও অভ্যন্তরীণ কমপ্লেন কমিটির কার্যবিধির উপর নজরদারি।
* নাগরিকদের উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছতে সকলের সঙ্গে যোগাযোগ।
* টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা মাসে অন্তত এক বার বৈঠকে বসবেন।
এছারাও বাকি অন্য কোনও বিষয় রাজ্যস্তরীয় টাস্ক ফোর্সের নজরে আনলে সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এই কমিটি।
রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জটিলতা কাটাতে সোমবার আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২ ঘণ্টা ১১ মিনিটের বৈঠকে হাসপাতালের নিরাপত্তা-সহ একাধিক বিষয়য়ে আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই গতকাল সন্ধেয় অনশন প্রত্যাহারের কথা জানান অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপরই টাস্ক ফোর্স গঠনের জন্য এদিন দুপুরে বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন।
আরও পড়ুন- সর্ষের মধ্যেই ভূত! ৪২৩ কোটির জিএসটি ফাঁকি দিল খোদ কেন্দ্রের দুই মন্ত্রক