সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : শীত পড়তেই উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্র করে জমে ওঠে পর্যটন ব্যবসা। রাজ্যের প্রধান পর্যটনস্থল দার্জিলিং, তরাই, ডুয়ার্স। সরকারি তথ্য অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গের জিডিপিতে পর্যটনের অবদান প্রায় ১৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে রাজস্ব সর্বকালের সর্বোচ্চ ভারতীয় মুদ্রায় ১,৮৬৩.৮৭১ মিলিয়নে পৌঁছেছে৷ ২০২৩- ২৪ সালে ৩১০ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ ৩১ হাজার কোটি টাকা। অতএব নিঃসন্দেহে বলা যায়, পশ্চিমবঙ্গে জিডিপির ক্ষেত্রে পর্যটন এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েতের একগুচ্ছ নতুন কাজের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করলেন মেয়র
এই জিডিপির কথা মাথায় রেখে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সন্মেলনের মঞ্চ থেকে বাংলায় বিনিয়োগের জন্য আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্যটন প্রসারের কথা মাথায় রেখে বাংলার জনপ্রিয় গন্তব্য দার্জিলিংয়ের মতোই আরও হিল স্টেশন তৈরির পরিকল্পনার পাশাপাশি চা-শিল্প, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ছাড়াও পর্যটনকে চাঙ্গা করতে পাহাড়ের গায়ে হোম স্টে, জঙ্গলবেষ্টিত পর্যটন, ন্যাশনাল পার্ক, জঙ্গল সাফারির কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। যা পর্যটনে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে। এছাড়াও টাইগার হিলস বা সান্দাকফুকেও পর্যটন মানচিত্রে আরও জোর দেওয়ার কথা জানান তিনি। সম্মেলনে তিনি জানান, বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন মোট ৩৭৬২৮৮ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছে। শুধু পর্যটন নয় উত্তরবঙ্গের চা-শিল্পও দেশের অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলে প্রধান শিল্প পাট, চা, ইস্পাত, জাহাজনির্মাণ, সিমেন্ট, রেলইঞ্জিন ও ওয়াগননির্মাণ, পেট্রোলিয়াম, খনি, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে। ৮৭টি চা-বাগান খোলা রয়েছে দার্জিলিংয়ে। প্রতি বছর প্রায় ৯.৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়। কোচবিহার, দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি জেলা রাজ্যে সর্বোচ্চ চা উৎপাদনকারী। চা-শিল্পে পশ্চিমবঙ্গের অবদান দেশের প্রায় ৩২%। তবে পর্যটন আর চায়ে থেমে থাকছে না উত্তরবঙ্গ।