প্রতিবেদন : প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা রাখেনি কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী চা-শ্রমিকদের প্রাপ্য থেকেও তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আধার কার্ডে চা-শ্রমিকদের নামের হেরফের এবং তা ঠিক করার কোনওরকম হেলদোলও নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। এইকারণেই পিএফ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চা-শ্রমিকরা। যা একটি বড় সমস্যা। এই জ্বলন্ত সমস্যা নিয়েই গত ১০ সেপ্টেম্বর তৃণমূল চা-বাগান শ্রমিক ইউনিয়ানের প্রথম কেন্দ্রীয় সম্মেলনে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার ডাক দেন চা-শ্রমিকদের। বঞ্চিত শ্রমিকরাও এদিনই সমর্থন জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-বিডিওকে হুমকি বিজেপি নেতার
করতালির সঙ্গে প্রতিবাদে শামিল হওয়ার সাড়া দিয়েছিলেন। এরপর পরই চা-বাগান শ্রমিক ইউনিয়ন(টিসিবিএসইউ)-এর উদ্যোগে চা-শ্রমিকদের জাগিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়। গোটা চা-বলয় জুড়েই চলে সভা। এবার প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন তাঁরা। ৯-১৩ ডিসেম্বর পাঁচদিন ধরে চলবে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। এদিনই জলপাইগুড়ির এলেনবাড়িতে আন্দোলনের সূচনা করলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। চা-শ্রমিকদের প্রতি কেন্দ্রের একাধিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, শ্রমিকদের পিএফের টাকা নিয়েও নোংরা রাজনীতি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁদের প্রাপ্যটুকুও দেওয়া হচ্ছে না। চা-শ্রমিকদের হাজার হাজার কোটি টাকা পিএফ বকেয়া থেকে যাচ্ছে তা দেওয়ার ন্যূনতম উদ্যোগটুকুও নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। কিছু অসাধু বাগান মালিক এই টাকা নিয়ে নিচ্ছেন। এবার সবকিছুর জবাব দেবেন শ্রমিকরা। একইভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিদ্ধ করেন মন্ত্রী মলয় ঘটক।
আরও পড়ুন-বিষ্ণুপুরে চলো গ্রামে যাই ঘিরে অভূতপূর্ব সাড়া
চা-শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকারের উন্নয়নগুলি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শ্রমিকদের বাচ্চাদের রাখার জন্য ৫০টি ক্রেশ এবং তাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে ২০টি হেলথ সেন্টার তৈরি করবে রাজ্য সরকার। এদিনের সভায় ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, টানা প্রতিবাদ চলবে। ১৩ ডিসেম্বর ঘেরাও করা হবে জলপাইগুড়ির পিএফ অফিস। অফিসের সামনে হবে অবস্থান বিক্ষোভ। শুরু হবে সকাল ১০টা থেকে। এদিনই আগামী দিনের আরও কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবারের সভায় ছিলেন মহুয়া গোপ, রাজেশ লাকড়া, নির্জল দে, জোসেফ মুন্ডা, সঞ্জয় কুজুর, হারাধন দাস, মোশারফ হোসেন প্রমুখ।