ঐতিহ্যবাহী টাউন স্টেশন ধ্বংসের মুখে, হুঁশ নেই রেলের

রবীন্দ্রনাথ, বাঘাযতীন, গান্ধীজি, চিত্তরঞ্জন, নেতাজি প্রমুখ বহু মনীষীর পদধূলি পড়েছে শহর শিলিগুড়ির ঐতিহ্যবাহী টাউন স্টেশনে।

Must read

সুদীপ্তা চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: রবীন্দ্রনাথ, বাঘাযতীন, গান্ধীজি, চিত্তরঞ্জন, নেতাজি প্রমুখ বহু মনীষীর পদধূলি পড়েছে শহর শিলিগুড়ির ঐতিহ্যবাহী টাউন স্টেশনে। সেই স্টেশন আজ জরাজীর্ণ। বটগাছের ঝুরি নেমেছে দেওয়াল জুড়ে। বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ নেই রেল দফতরের। হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর আজও চরম অবহেলায় এই স্টেশন। কালক্রমে এটি নেশাড়ুদের ঠেকে পরিণত হয়েছে। দিনের বেলায় তরুণরা ভিড় করে নেশা করতে। এক সময় বহু যাত্রীবাহী ট্রেন থামত। জংশন থেকে ফেরত দার্জিলিং মেলও দাঁড়াত। সব এখন বাতিলের খাতায়। দু’–একটা মালগাড়ি ছাড়া দাঁড়ায় না কোনও ট্রেন। তাই আশপাশের মানুষ স্টেশনে জামাকাপড় মেলে। চারিদিকে আবর্জনা। রেল ঘুমিয়ে থাকলেও স্টেশনের গৌরব ফেরাতে উদ্যোগী পুরসভা।

আরও পড়ুন-ইংল্যান্ডেও নেতৃত্ব দেবেন রোহিতই

শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব জানিয়েছেন, ঐতিহ্যবাহী স্টেশনটিকে বাঁচিয়ে রাখতে শিলিগুড়ি পুরনিগম যথাসম্ভব সহযোগিতা করবে রেলকে। অবশ্য রেলমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো হলেও উত্তর মেলেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন দু’-একটা ট্রেন এই লাইনে আসা–যাওয়া করত। গৌতম বলেন, অনেক মনীষীর স্মৃতি জড়িয়ে। একে রক্ষা করা উচিত রেলের। রেল না পারলে, আমাদের বললে আমরাই স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণ করব।
রাজ্যে প্রথম মহিলাচালিত এই স্টেশনে রেলকর্মীরাও নিশ্চিন্ত নন। স্বাধীনতার আগে ১৮৭৯ সালে কলকাতার সঙ্গে শিলিগুড়িকে রেলপথে জুড়তে তৈরি হয়েছিল এই টাউন স্টেশন। ইতিহাস বলছে ১৮৮১–র ৪ জুলাই প্রথম টয়ট্রেন দার্জিলিংয়ে গিয়েছিল এখান থেকেই। বিধান রোড ধরে চলত তিস্তা ভ্যালি এক্সপ্রেস। রবীন্দ্রনাথের মংপুতে যাওয়া কিংবা শিলিগুড়িতে প্রথম পা দেওয়া সুভাষচন্দ্রের পদধূলি পড়েছে। আসতেন দেশবন্ধুও। সব জেনেও চুপ কেন্দ্র।

Latest article