নয়াদিল্লি: এসআইআরের নামে প্রতিষ্ঠানিক খুনের শিকার হচ্ছেন বিএলওরা। নির্বাচন কমিশনের অমানবিক চাপে অগণিত লোক আতঙ্কিত এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, অনেকের মৃত্যুও হয়েছে৷ ৪ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর এই ৩৭ দিনে এই তিনটি শব্দ বিএলওদের নামের আগে বা পরে বসেছে। সোমবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে অত্যন্ত চাঁচাছোলা ভাষায় ‘গ্রাউন্ড জিরো’-র বাস্তবতা তুলে ধরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় (Ritabrata banerjee)৷ একইসঙ্গে তিনি তুলে ধরেন বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বিএলও-দের দুর্দশার কথা৷ তাঁর অভিযোগ, দু’বছরের কাজ দু’মাসে শেষ করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন৷ ইচ্ছে করে তারা এই পরিস্থিতি ডেকে এনেছে। আর এই কাজের মারাত্মক চাপে বাংলায় আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন ৪ জন বিএলও৷ এই ঘটনা আসলে প্রাতিষ্ঠানিক খুন। বিএলওরা আতঙ্কিত। আত্মহত্যা করা বিএলও রিঙ্কু তরফদার তাঁর সুইসাইড নোটে আমাদের দেশের নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে গিয়েছেন। ঋতব্রতর (Ritabrata banerjee) কথায়, রাজ্যে এমন কোনও জেলা নেই, যেখানে বিএলও-রা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাননি। বিএলও-রা কোনও ‘ডেটা রোবট’ নন। বিএলও অ্যাপ্লিকেশন বহু জায়গায় কাজ করছে না, ভোর পাঁচটা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে৷ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে বিএলওদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের ভয় দেখানো হচ্ছে৷ তাঁর প্রশ্ন, কেন শুধু বাংলাকেই টার্গেট করা হচ্ছে? অত্যন্ত আবেগপ্রবণ ভাষায় বিএলওদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরেন ঋতব্রত। বলেন, এসআইআরের কাজ শুরু হওয়ার ৪ দিনের মাথাতেই প্রথম মৃত্যুর খবর এসেছে। পূর্ব বর্ধমানে ৯ নভেম্বর মৃত্যু হয়েছে বিএলও নমিতা হাঁসদার। এরপর জলপাইগুড়িতে মৃত্যু হয়েছে শান্তিমণি ওরাওঁয়ের। ২১ নভেম্বর নদিয়ায় আত্মহত্যা করেছেন ৫১ বছরের রিঙ্কু তরফদার। মুর্শিদাবাদে হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে জাকির হোসেন নামে এক বিএলওর। বিজেপি নেতারা আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন মানুষের মনে। অথচ নির্বাচন কমিশন নীরব।

