প্রতিবেদন : নয়ের দশকেও চোখে পড়ত ভোট এলেই পাড়ায় পাড়ায় টিমটিমে হ্যারিকেনের আলোয় দেওয়াল ভরে লেখার পাশাপাশি আঁকা হচ্ছে ব্যঙ্গচিত্র বা কার্টুন। দলের কর্মীরাই আঁকতেন সেগুলি। ইদানীং অবশ্য প্রায় সব দলই পেশাদার শিল্পীদের দিয়ে বেশি দেওয়াল লিখনের কাজ করায়। আগে যেমন কবিগানও ছিল ভোটপ্রচারের হাতিয়ার। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার রমরমার ফলে প্রায় উধাও দেওয়ালে আঁকা ভোট নিয়ে মজাদার কার্টুন বা ব্যঙ্গচিত্র। প্রায় হারিয়ে যাওয়া সেই কার্টুন-সংস্কৃতিকে ফিরতে দেখা গেল ভোটের প্রচার বা দেওয়াল লেখায়। কাটোয়ার একটি দেওয়ালে মোদির চেহারার একটি কার্টুন এঁকে গ্যাসের দামবৃদ্ধি নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। আরেকটিতে রামের ছবি এঁকে নির্বাচনে মোদির হাত ছাড়তে কটাক্ষ করে লেখা হয়েছে ‘অন্তত একটা নির্বাচন আমাকে ছাড়’।
আরও পড়ুন-ফেডারেশনের উদ্যোগে সংগ্রহশালা হতে পারে কলকাতায়
আবার কোনও দেওয়ালে দেখা গেল রাজ্যের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী নিয়ে পুরো একটা পরিবার সেলফি তুলছে এরকম কার্টুন। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি ও কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র এগুলো এক সময় রাজনৈতিক প্রচারের বড় হাতিয়ার ছিল। আবার সে সব প্রচারে ব্যবহার করছি আমরা। এগুলি এখন আঁকছেন এলাকার পেশাদার চিত্রশিল্পীরা। মানুষজনও খুব উপভোগ করছেন এই সব ব্যঙ্গচিত্র বা কার্টুনের ব্যবহার।’ এ প্রসঙ্গে কাটোয়ার এক ব্যস্ত চিত্রশিল্পী জানালেন, ভোটের জন্য কার্টুন আঁকতে হওয়ায় আমাদের ব্যস্ততা এখন বহুগুণ বেড়েছে। দিনে-রাতে কমপক্ষে চল্লিশখানা দেওয়াল লিখতে হচ্ছে। কার্টুনও আঁকতে হচ্ছে। অন্য এক চিত্রশিল্পী বলেন, ‘প্রতিদিনই দেওয়ালে কার্টুন আঁকতে হচ্ছে। একটা সময় ভাল চাহিদা ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে কার্টুনের কথা লোকজন ভুলেই গিয়েছিল। চাহিদা বাড়ছে ফের। দলের প্রতিবাদ, স্লোগান এসব কার্টুনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে।