সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : মোদিস্তুতি করে রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্বভারতীর পরিদর্শক দ্রৌপদী মুর্মুকে রাস্তা ফেরতের দাবি জানিয়ে চিঠি দিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। প্রতিলিপি বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী, রেক্টর তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বসু, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতীর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমার যাবতীয় কৃতিত্ব এই চিঠিতে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সর্বেক্ষণ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক এবং শিক্ষামন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রীর সামনেই হাতাহাতি বিজেপির দুই গোষ্ঠীর
পূর্বতন উপাচার্য, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং বর্তমান শিক্ষক ও মুখ্যমন্ত্রীর কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে উপাচার্য যে মনেপ্রাণে গেরুয়াপন্থী সেটাই ফের প্রমাণ করে দিলেন। শুধু তাই নয়, নিজের মেয়াদের কার্যকাল বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোদিস্তুতিও করলেন বলে বক্তব্য বিশ্বভারতীর প্রাক্তনীদের। রবিবার চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি এক সহকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মীদের নিয়ে আশ্রমের পাশে অপেক্ষায় থাকা টোটোকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন উপাচার্য। চিঠিতে উপাচার্য স্বীকার করেন, টোটোকর্মীদের জীবনজীবিকার প্রশ্ন জড়িত আছে। কিন্তু তাঁরা যেন দূরেই থাকেন। রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়ে চিঠি দেওয়া এবং তার উত্তর না পাওয়া নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন উপাচার্য।
আরও পড়ুন-অব্যবস্থায় হোটেলেই প্রস্তুতি বাংলার
উল্লেখ্য, শান্তিনিকেতনের মধ্য দিয়ে চলে গিয়েছে রাজ্য পূর্ত দফতরের রাস্তা। সেই রাস্তায় নবাহন চলাচলের ফলে দূষণের মাত্রা বেড়েছে বলে দাবি উপাচার্যের। তাঁর অভিযোগ, মোটর সাইকেল, সাইকেল বা হেঁটে চলাচলে বিশ্বভারতী কোনওদিন বাধা দেয়নি। ভারী যানবাহন চলাচল না থামালে শতবর্ষপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য ভেঙে পড়তে পারে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য। তাঁদের দাবি, শ্যামবাটি থেকে ডিয়ার পার্ক হয়ে ফরটি ফাইভের কাছে ওঠা বিকল্প রাস্তা করেই দিয়েছে রাজ্য সরকার। বিশ্বভারতীকে এই রাস্তা ফেরত দিলে মানুষের কোনও অসুবিধা করবেন না তাঁরা।