প্রতিবেদন : কসবা আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় রাজ্য পুলিশেই আস্থা রাখল নির্যাতিতার পরিবার। সাম্প্রতিককালে আরজি কর-সহ একাধিক ঘটনায় কলকাতা পুলিশের সাফল্য প্রমাণিত। আরজি করে কলকাতা পুলিশের তদন্তেই সিলমোহর দিয়েছে সিবিআই। তাই রাজ্য পুলিশেই আস্থা রাখছেন তাঁরা, এমনই বলছেন নির্যাতিতার পরিবার। এদিন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতেও আপত্তি জানান তাঁরা। জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে যে অভিযোগ করা হয়েছিল তাও কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। তাঁরা জানান, জাতীয় মহিলা কমিশন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তাঁরা বলেছেন, কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে তাঁদের আপত্তি নেই। তবে তাঁদের সঙ্গে বারবার সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ এই অবস্থায় তাঁরা চান না। এখানেই প্রমাণিত জাতীয় মহিলা কমিশন এই ঘটনাকে সামনে রেখে রাজ্যে ফের মিথ্যাচার ও রাজনীতি করতে নেমেছে। এরপরই এই ঘটনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে কমিশনকে তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, জাতীয় মহিলা কমিশনের এই সদস্যরা বাংলার কোনও বিষয় পেলেই অনেক বড় বড় কথা বলেন। তাঁদের জিজ্ঞেস করুন, তাঁরা কি একবারও উন্নাও গিয়েছেন, হাথরস গিয়েছেন, গুজরাত গিয়েছেন, প্রয়াগরাজ গিয়েছেন, বিলকিসের সঙ্গে দেখা করেছেন? আপনাদের টিএ ডিএ কি শুধু বাংলায় আসার জন্যই দেওয়া হয়? যেখানে ঘটনার পরই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে, তদন্ত চলছে, নির্যাতিতার পরিবার বলছেন তাঁদের পুলিশের উপরেই আস্থা আছে— তার পরও জাতীয় মহিলা কমিশন সেখানে এসে কী করতে চায়? প্রশ্ন তোলেন কুণাল। বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে গোহারা হারা বিজেপির ক্যাডার কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদারকেও তীব্র কটাক্ষ করেন কুণাল।
আরও পড়ুন-কুৎসিত ভাষায় মীনাক্ষীর নিশানায় কুণাল ঘোষ, ভিডিও দেখিয়ে তোপ দেবাংশুর
রবিবার পুলিশের আপত্তি উড়িয়ে কলেজে ঢোকার চেষ্টা করেন কমিশনের সদস্যরা। সেই ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করেন তাঁরা। যদিও পুলিশ সাফ জানিয়েছে কেউ বাধা দেয়নি। কমিশনের এক সদস্যের সঙ্গে দুই সহযোগী কলেজে ঢোকেন এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পরিদর্শনও করেন। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, কোথাও পুলিশ কমিশনকে বাধা দেয়নি। কিন্তু যে তৎপরতা নিয়ে কলকাতার ঘটনায় মাঠে নেমেছে জাতীয় মহিলা কমিশন তার একাংশও দেখা যায়নি ওড়িশায় পাঁচটি গণধর্ষণের ঘটনায়।