বালুচিস্তানে গুলিতে ঝাঁঝরা কুলভূষণ অপহরণের খলনায়ক

কিন্তু হত্যাকারী কে বা কারা, তা নিয়ে এখন ঘনিয়ে উঠেছে গভীর রহস্য। প্রশ্ন উঠেছে মুফতির মদত এবং আশ্রয়দাতা আইএসআইয়ের ভূমিকা নিয়ে।

Must read

প্রতিবেদন: ভারতীয় নৌসেনা আধিকারিক কুলভূষণ যাদব অপহরণ-কাণ্ডের নেপথ্য-খলনায়ক এবং ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশে মদতদাতা আইএসআই ঘনিষ্ঠ মুফতি শাহ মিরকে বালুচিস্তানে গুলি করে মারল অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরা। এর আগেও মুফতিকে দু’বার টার্গেট করেছিল আততায়ীরা। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিল হত্যার চেষ্টা। এবারে কিন্তু যথেষ্ট আঁটঘাট বেঁধেই এসেছিল তারা। বালুচিস্তানের তুরবতে একটি মসজিদে প্রার্থনা করে বের হওয়ার সময়ই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করে আততায়ীরা। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন মুফতি। মোটরবাইকে চেপে এসে তাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েই ফিরে যায় আততায়ীরা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গত সপ্তাহেই খুন হয় তাঁর ২ ঘনিষ্ঠ অনুগামী। কিন্তু হত্যাকারী কে বা কারা, তা নিয়ে এখন ঘনিয়ে উঠেছে গভীর রহস্য। প্রশ্ন উঠেছে মুফতির মদত এবং আশ্রয়দাতা আইএসআইয়ের ভূমিকা নিয়ে।

আরও পড়ুন-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা রাখেন প্রধানমন্ত্রী দিলেন শুধুই ভাঁওতা

কে এই মুফতি? বালুচিস্তানে পরিচিতি ধর্মগুরু এবং গবেষক হিসেবে। কিন্তু জামিয়াত-ই-ইসলামের ব্যানারে ভারতবিরোধী বিভিন্ন চক্রকে মদত করাই ছিল আসল কাজ। পাকিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গি ডেরাতেও ছিল ঘনঘন যাতায়াত। অস্ত্র আর মানবপাচারেও অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যেত মুফতিকে। কিন্তু মাথায় আইএসআইয়ের হাত থাকায় মুফতি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। লক্ষণীয়, অবসরের পরে নৌসেনা আধিকারিক কুলভূষণ যাদব ইরানে ব্যবসা করতেন চাবাহারের। ২০১৬ সালে ইরান-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে তাঁকে অপহরণ করে পাকিস্তানি সেনার হাতে তুলে দেয় অপহরণকারীরা। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের সামরিক আদালত কুলভূষণকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২০১৯-এ অবশ্য আন্তর্জাতিক আদালত স্থগিতাদেশ দেয় কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডে।
কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, কুলভূষণের অপহরণ-কাণ্ডের ২ মূল চক্রীকেই গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল আততায়ীরা। অপহরণে যুক্ত জইশ আল আদলের সদস্য মোল্লা ওমর ইরানিকে ২০২০ সালে গুলি করে খুন করে আইএসআই এজেন্টরাই। শুক্রবার একইভাবে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হল আইএসআই-ঘনিষ্ঠ ভারতবিরোধী আর এক চক্রী মুফতিকে।

Latest article