সংবাদদাতা, হাওড়া : রাতভর কাজ করে আমতা ও বাগনানের একাধিক জায়গায় বন্যার জল ঢোকা রুখলেন সেচ দফতরের কর্মীরা। আমতা-২ নম্বর ব্লকের রামপুর খালের জল বাঁধ উপচে নারিট-মনসাতলা রোডে আসছে খবর পেয়ে রাতেই সেখানে পৌঁছোন সেচ দফতরের অফিসার ও কর্মীরা। বালির বস্তা দিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জল ঢোকা বন্ধ করতে কাজ শুরু করেন তাঁরা। রাতভর চলে কাজ। এলাকার বাসিন্দারাও কাজে হাত লাগান। ভোরের দিকে জল ঢোকা বন্ধ করতে সফল হন সেচ দফতরের কর্মীরা। এরই পাশাপাশি বাগনানের চন্দ্রপুরের মহিষরেখায় দামোদরের বাঁধ দিয়ে জল ঢুকছে খবর পেয়েই সেখানে দ্রুত পৌঁছে যান সেচ দফতরের আরও একটি দল। রাতেই বাঁধের ফাটল দিয়ে জল আসা আটকাতে বালির বস্তা ফেলা শুরু হয়। সেচ দফতরের কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাথায় করে বালির বস্তা নিয়ে এসে বাঁধ দিয়ে জল ঢোকা রুখতে কাজে নামেন স্থানীয়রা। রাতভর কাজের পর অবশেষে ওইখান দিয়েও জল ঢোকা বন্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন-বন্যাবিধ্বস্ত মানুষের পাশে ত্রাণ-সহ সাহায্য নিয়ে মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়ক-নেতা-কর্মী-আধিকারিক
একইভাবে বাগনানের হারোপে দামোদরের বাঁ দিকের বাঁধে গর্ত দিয়ে জল লিকেজ হতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা তৎক্ষণাৎ সেচ দফতরকে বিষয়টি জানাতে তড়িঘড়ি দফতরের কর্মীরা এসে সেখান দিয়ে জল ঢোকা বন্ধ করেন। রাতভর বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এভাবেই জল ঢোকা রুখতে কাজ চলল।
ত্রাণশিবিরগুলিতেও দুর্গত মানুষদের প্রশাসনের তরফে ত্রাণ বিলি করা হল। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফেও আমতা ও উদয়নারায়ণপুর এলাকাতে দুর্গত মানুষদের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করা হয়। কাজের তদারকি করেন মন্ত্রী পুলক রায়। দাঁড়িয়ে থেকে দলীয় কর্মীদের মাধ্যমে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি। শুক্রবার ত্রাণ শিবিরগুলি পরিদর্শন করেন জেলাশাসক পি দীপাপপ্রিয়া।