প্রতিবেদন : হাজারো চেষ্টা সত্ত্বেও চিনে সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না। জিরো কোভিড নীতি অনুসরণ করায় সংক্রমণ রুখতে জিনপিং সরকার যত কঠোর হচ্ছে তত সে দেশে বাড়ছে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ আন্দোলন। কড়া লকডাউন ও বিধিনিষেধের প্রতিবাদে রাজধানী বেজিং থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় একটানা ৬ দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে। তবে শুধু প্রশাসনিক নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ নয়, এই প্রথম বিক্ষোভ মিছিল থেকে সরাসরি প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের পদত্যাগ দাবি উঠেছে। যা চিনের রাজনীতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন-জীবৌতিতে চিনা নৌঘাঁটি, ভারতকে সতর্ক করল পেন্টাগন
গত দু’দিন ধরে প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় হাতাহাতিও হয়েছে। যেভাবে সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিক ও সোশ্যাল মিডিয়ার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করছে কমিউনিস্ট সরকার তাতে সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। ব্রিটেন, আমেরিকার মতো একাধিক দেশ সরকারকে সংবাদমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে অনুরোধ করেছে। ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত জিনপিং সরকার কড়া বিধিনিষেধ কিছুটা হলেও শিথিল করেছে। গুয়াংঝাউ এবং সাংহাইতে সংক্রমণ বাড়লেও কিছু বিধি-নিষেধ শিথিল করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রশাসনিকভাবে কোনও ঘোষণা করা না হলেও জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই দেশের অন্যান্য অংশেও বিধিনিষেধে শিথিলতা আসতে চলেছে। তবে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ ও প্রশাসনের অতিসংক্রিয়তা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন-উদ্বেগ, বাড়ল রাজকোষ ঘাটতি
গুয়াংঝাউ প্রশাসন বৃহস্পতিবার শহরের বেশিরভাগ এলাকা থেকে বিধি নিষেধ তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। সংক্রমণ রোধ করতে গণহারে যে আরটিপিসিআর টেস্ট করা হচ্ছিল তাও বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে কি কারণে করোনা পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে তা বলা হয়নি। ইতিমধ্যেই যে সমস্ত এলাকা থেকে বিধি নিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে সেখান থেকে পুলিশ সরে গিয়েছে। তবে যে সমস্ত শহরে মানুষের বিক্ষোভ চলছে সেইসব এলাকায় এখনও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি। বরং পুলিশি দমন আরও বেড়েছে।