প্রতিবেদন : আরজি করের ঘটনা নিয়ে আন্দোলনের সময় দুর্ঘটনায় জখম এক যুবকের ভুল চিকিৎসা হয় সেই আরজি করেই। এর জেরে ওই যুবকের পা বাদ দিতে হল। তা না হলে প্রাণে বাঁচানো যেত না তাঁকে। একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর পা বাদ দেওয়া হয়। আজ, মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালে ফুলবাগান থানা থেকে পাঠানো ওই যুবকের পায়ের ময়নাতদন্ত চলছে নিয়ম মেনে। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ, এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই যুবকের পরিবারকে ক্রমাগত হুমকি ও চাপ দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, কোন চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় এই ঘটনা ঘটেছে তা দেখতে হবে। তাঁর বা তাঁদের পরিচয় সামনে আনা হোক। আরজি করের চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরে রোগী হয়রানি হয়েছে, মৃত্যুও হয়েছে। এবার তাঁদের ভুল চিকিৎসায় এক যুবকের পা বাদ চলে গেল, এর জবাব কে দেবে? কুণাল বলেন, দুর্ঘটনার পর যখন কাশীপুর থানার পুলিশ আরজি করে আহত যুবককে নিয়ে যায়, তখন সেখান থেকে তড়িঘড়ি পায়ে প্লাস্টার করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু দু’দিন পর থেকেই প্লাস্টারের মধ্যে থেকে পচা দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। কোনওরকমে ব্যথার ওষুধ খেয়ে ব্যথা সহ্য করার পর ফুলবাগানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে গেলে সেখানকার চিকিৎসক দ্রুত প্লাস্টার কেটে দেখেন পায়ে সংক্রমণ হয়ে গিয়েছে। পা বাদ দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। সংক্রমণ হাঁটুর উপরে উঠলে প্রাণ পর্যন্ত বিপন্ন হতে পারত।
আরও পড়ুন-বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও ত্রাণ বণ্টন নিয়ে বোলপুরে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক