সংবাদদাতা, সিউড়ি : সম্পূর্ণ হয়নি রেল দফতরের উদ্যোগে ফ্লাইওভার। ফলে নিত্যদিন মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। ফ্লাইওভারের নিচে থাকা রাস্তার বেহাল দশায় বিপদে পড়ছেন শহরের মানুষ। তাই এবার বীরভূম জেলা পরিষদ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা খরচা করে নতুন করে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। সিউড়ি থেকে বোলপুর যাওয়ার মাঝখানে সিউড়ি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাটজনবাজার এলাকা দিয়ে সিউড়ি রেললাইন শহরের মাঝ বরাবর চলে গিয়েছে। এই রেললাইনকে কেন্দ্র করেই সিউড়ি শহরের দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। যানজট থেকে মুক্তি পেতে রেল ফ্লাইওভার তৈরির পরিকল্পনা করে।
আরও পড়ুন-নবরাত্রির পুজো দিয়ে টি ২০-র প্রস্তুতি গম্ভীরের
কিন্তু ছ বছর ধরে তার কাজ শেষ করতে পারেনি রেল। ফলে শহরে যানজট লেগেই রয়েছে। তার ওপর ফ্লাইওভার তৈরির জন্য পাশের রাস্তার বেহাল দশা হয়েছে। রাস্তার উপরে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত, তাতে পড়ে প্রত্যেকদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। ফ্লাইওভারের কাজ চলছে বলে পাশের রাস্তার কাজ ঠিকমতো করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন কাজল। একটি ফ্লাইওভার তৈরি করতে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন সংস্থার যদি ছয় বছর সময় লেগে যায়, তাহলে মানুষের ভোগান্তি কমবে কী করে প্রশ্ন তাঁর। এদিকে অতি ভারী বৃষ্টিতে ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে যে রাস্তা গিয়েছে তার দশা খারাপ। বড় বড় গর্ত হয়েছে, তাতে দুর্ঘটনা লেগে হয়েছে। বারবার রেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি, যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করুন। এ নিয়ে সাংসদ শতাব্দী রায়ও একাধিকবার সংসদে সোচ্চার হয়েছেন। কিন্তু রেলের কোনও হেলদোল দেখা যাচ্ছে না। দুর্গোৎসবে লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় বেরবেন। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, কোথাও রাস্তা খারাপ রাখা যাবে না পুজোর সময়। তাই জরুরি ভিত্তিতে জেলা পরিষদ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পেয়ে ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তার কাজ শুরু করা হয়েছে। পুজোর আগেই ঝকঝকে রাস্তা মানুষকে উপহার দেওয়া হবে। পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রামেও পুজোর আগে প্রায় ৭০০ পথবাতি লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।