দেবীশক্তির প্রতীক
শিল্পশৈলী, সামাজিক প্রেক্ষাপট ও ধর্মীয় আচারের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মূলত দুর্গা প্রতিমার বিবর্তন ঘটেছে। প্রাচীনকালে বিভিন্ন দেবীর রূপে পূজিতা হতেন দুর্গা। বর্তমানে প্রধানত বাঙালি চালা বা চালের কাঠামোযুক্ত সাবেকি প্রতিমার রূপটিই বহুল প্রচলিত।
মার্কণ্ডেয় পুরাণ অনুযায়ী দুর্গা মূলত আবির্ভূত হন দেবীশক্তির প্রতীক হিসেবে। এই সময় থেকেই দুর্গাপুজোর প্রচলন শুরু হয়। প্রতিমা সম্ভবত অন্য দেবীর প্রতিমার মতো বিভিন্ন শাস্ত্রীয় রীতিতে নির্মিত হত। ১৫০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দুর্গাপুজো প্রচলিত হলেও, মধ্যযুগে, বিশেষ করে বাংলায়, দেবীর প্রতিমার বিবর্তন ঘটেছে। এই সময়েই বাংলা চালার ঠাকুর নামে পরিচিত সাবেকি রূপটি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই রূপটি মূলত বাঙালি শিল্পরীতির পরিচয় বহন করে।
পরবর্তীকালে কলকাতায় কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের হাত ধরে দুর্গা প্রতিমার রূপে পরিবর্তন আসে। আধুনিক যুগে প্রতিমার নকশা, সাজসজ্জা এবং নির্মাণশৈলীতে বৈচিত্র্য দেখা যায়। বারোয়ারি বা সর্বজনীন পুজোর প্রসারের ফলে প্রতিমার সাবেকি রূপের বাইরেও বিভিন্ন থিমভিত্তিক প্রতিমা তৈরি হতে শুরু করেছে। এটা প্রতিমার নকশা ও অলঙ্করণে নতুনত্বের জন্ম দিয়েছে। দুটি রূপই আজ সমাদৃত। দুই ধারাতেই নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছেন বহু শিল্পী। জনসাধারণের সামনে তুলে ধরছেন শিল্পকর্ম। কয়েকজনের সঙ্গে কথা হল।
আরও পড়ুন-সোনালি স্বপ্নের সেই বিশাল খোঁজ, সোনালি স্বপ্ন
সনাতনের সনাতনী
এই সময়ের নামী মৃৎশিল্পী সনাতন রুদ্রপাল। প্রায় চার দশক ধরে দুর্গা প্রতিমা গড়ছেন। দেশ-বিদেশে সমাদৃত হয়েছে তাঁর শিল্পকর্ম। পেয়েছেন পদ্মশ্রী। মূলত সাবেকি প্রতিমা তৈরি করেন। কথা হল তাঁর সঙ্গে। কীভাবে যুক্ত হলেন এই শিল্পের সঙ্গে? তিনি জানালেন, আমার বাবা মোহনবাঁশি রুদ্রপাল। জ্যাঠামশাই রাখাল পাল, নেপাল পাল। এঁদের দেখেই এসেছি। আমি মূলত সাবেক প্রতিমা তৈরি করি। কিছু কিছু প্রতিমায় লাগে আধুনিকতার ছোঁয়া। কোনও কোনও থিম-পুজো মণ্ডপে শোভা পেয়েছে আমার তৈরি প্রতিমা। অন্যান্য বছরের মতো এই বছরও সর্বমঙ্গলা ক্লাবের থিম-পুজোয় আমার প্রতিমা থাকছে।
এবার আর কোথায় কোথায় দেখা যাবে সনাতনের সনাতনী দুর্গা? জানালেন, প্রায় ৫৫টি পুজো মণ্ডপে দেখা যাবে। গেছে বিদেশেও। আমেরিকার নিউজার্সিতে। এছাড়াও গেছে গুয়াহাটিতে। কোচবিহার, আসানসোলেও। সেইসঙ্গে কলকাতা-হাওড়ার বিভিন্ন মণ্ডপ। কলকাতার কলেজ স্কোয়্যার, একডালিয়া এভারগ্রিন, সিমলা ব্যায়াম সমিতি, ভবানীপুরে দেখা যাবে আমার তৈরি প্রতিমা। হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট সংগম, রামরাজাতলা দশের পল্লি ক্লাবে। এগুলো সব বড় পুজো।
প্রিয় শিল্পী কারা? জানালেন, বাবা, জ্যাঠামশাইরা। পাশাপাশি আমি রমেশ পালের একজন গুণমুগ্ধ ভক্ত। এখনও অনুসরণ করি। একটা সময় অলোক সেনের প্রতিমা আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। অন্যরকম ঘরানা। বলা যায়, থিমের প্রতিমা প্রথম ওঁর হাতেই প্রাণ পেয়েছিল। একটা কাঠামোর মধ্যে বিভিন্নরকম ভাবনার প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন।
থিম-পুজো সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় জানালেন, থিম-শিল্পীরা প্রতিমা গড়ার ক্ষেত্রে মূলত কুমোরটুলির শিল্পীদের উপরেই নির্ভরশীল। যদিও ব্যতিক্রম আছে। বিরাট বিরাট বাজেটের পুজো হচ্ছে। থিম-শিল্পীরা প্রচুর উপার্জন করছেন। পুরস্কার পাচ্ছেন। থিম পুজোর প্রতিমার থেকে আমাদের তৈরি প্রতিমার খরচ কিন্তু অনেক বেশি। তুলনায় আমরা অনেক কম টাকা পেয়ে থাকি। যাই হোক, শেষ কথা বলেন সাধারণ মানুষ। আমাদের তৈরি মাতৃমূর্তি দেখার জন্য মণ্ডপে মণ্ডপে মানুষের ঢল নামে। দেখে ভাল লাগে। পুজো তো এটাই। এই ধরনের পুজো ছিল, আছে, থাকবে।
আরও পড়ুন-৩৫,৭২৬ শূন্যপদ, নবম-দশমের পর ১৪ তারিখ একাদশ-দ্বাদশ, এসএসসি পরীক্ষায় আজ ৩,১৯,৯১৯ পরীক্ষার্থী
ভবতোষের কারখানা
আর্ট কলেজের কৃতী ছাত্র ভবতোষ সুতার। এই সময়ের থিম পুজোর প্রসঙ্গ উঠলে তাঁর নাম উঠতে বাধ্য। তাঁকে নিয়ে ‘ভবতোষের কারখানা’ নামে একটি ছবিও নির্মিত হয়েছে, যেটা কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে হয়েছে পুরস্কৃত। হতে চেয়েছিলেন অন্যকিছু। হয়ে গেলেন দুর্গাপুজোর থিম-শিল্পী। কীভাবে? তিনি জানালেন, আমি দুর্গাপুজো করতেই চাইনি। একেবারেই ইচ্ছা ছিল না। কয়েকজনের চাপে এসেছিলাম এই জগতে।
প্রথম দুর্গাপুজোর কাজ? জানালেন, বড়িশা জনকল্যাণ সংঘে। তারপর এই কাজেই থেকে গেলাম। কারণ, এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিজের ভাবনাচিন্তা শেয়ার করা যায়। ২০০০ সালে আর্ট কলেজ থেকে পাশ করেছি। ওই বছরই দুর্গাপুজোর কাজ শুরু করেছি। আর থামিনি। দেখতে দেখতে ২৫ বছর হয়ে গেল। দুর্গাপুজোর মাধ্যমে নানারকম বিষয় দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করার সুযোগ পেয়েছি।
এবার কোথায় দেখা যাবে আপনার শিল্পকর্ম? জানালেন, একমাত্র টালা প্রত্যয়ে। শতবর্ষে এবারের ভাবনা ‘বীজ অঙ্গন’। বীজ, ফুল, ফল এবং খাবারের থালা নিয়েই তৈরি হয়েছে স্টোরি। এখন বীজ তো জেনেটিক্যালি মডিফায়েড। তার ফলে যে খাবার আমরা খাচ্ছি, তার সোর্স কী, কিছুই জানি না। এই বিষয়টাকেই ধরা হয়েছে।
একটা সময় শুধুই সাবেকি পুজো দেখা যেত। এখন থিম-পুজো ঘিরে উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে। প্রচুর নতুন নতুন শিল্পী একবুক স্বপ্ন নিয়ে এসেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বললেন, শিল্প বা সংস্কৃতি এমন একটা বিষয়, যা এক জায়গায় থেমে থাকে না। নদীর মতো বইতে থাকে। কোথাও থেমে গেলে বদ্ধ জলাভূমির মতো হয়ে যায়। শিল্পের প্রাণই হল প্রবাহে। দুর্গাপুজোর যে ক্ষেত্র, সেটা পেয়ে হঠাৎ করে এর একটা সোর্স তৈরি হয়। ফলে এই পুজোয় বহু শিল্পী জড়িয়ে পড়েন। আগে যেভাবে দুর্গাপুজো হত, সেখান থেকে গত কয়েক বছরে ওভার জাম্প করেছে। মানুষও অ্যাকসেপ্ট করেছে। এটা খুব স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। কম সময়ের মধ্যে দুর্গাপুজো মহাবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। গতিটা ঠিক ছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। সাবেক পুজো সম্পর্কে মতপ্রকাশ করলেন তিনি। বললেন, সাবেক বলে কিছু হয় না। কিছু কিছু মানুষ গেল গেল রব তোলেন। ওইগুলোর মধ্যে আটকে থাকেন। উত্তরণটা মেনে নিতে পারেন না। সাহস পান না। আসলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মনের মধ্যে নস্টালজিয়া কাজ করে। যেমন দেখতে অভ্যস্ত, তেমনই দেখতে চান। এটা এক ধরনের সংস্কার। সময় কিন্তু এগোয়। সে চলমান। কোনও কিছু থেমে যাওয়া মানেই মৃত্যু। আপামর জনসাধারণ থিম-পুজোকে গ্রহণ না করলে এই জায়গায় আসা যেত না। কে শিল্পী, কী কাজ করেছে দেখাও হত না। মানুষ গ্রহণ করছে, তাই থিম-পুজো আজ এই জায়গায় পৌঁছেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘‘একটা আর্ট গ্যালারিতে যত সংখ্যক দর্শক আসেন, তার থেকে অনেক অনেক বেশি দর্শক পুজো মণ্ডপে এসে আমাদের কাজ দেখেন। আর্ট গ্যালারি এবং দুর্গাপুজোর মাঠের কোনও তুলনাই চলে না। আমি দুর্গাপুজো এনজয় করি। কারণ, আমার শিল্পকর্ম সাধারণ মানুষের জন্য। মানুষের সঙ্গে থেকেই শিল্প করতে চাই। কিছু মানুষের জন্য শিল্প করার লোক আমি নই। সেই কারণেই দুর্গাপুজোর মাঠ আমার ভাল লাগে। এটা নানা ধর্মের, নানা বর্ণের, নানা ভাবনার মানুষের ক্ষেত্র।’’
আরও পড়ুন-শ্রীরামপুর রাজবাড়ির পুজো যেন কাব্য
প্রদীপের শিখা
এইবছর প্রায় ৭০টি প্রতিমা তৈরি করছেন মৃৎশিল্পী প্রদীপ রুদ্রপাল। কলকাতার শ্রীভূমি স্পোটিং, সিংহী পার্ক, গড়িয়া নবদুর্গা, বাবুবাগান, হাওড়ার স্বামীজি স্পোর্টিং ক্লাবের মতো বড় বড় পুজো মণ্ডপে দেখা যাবে তাঁর তৈরি দেবীমূর্তি। তিনি মূলত সাবেক দুর্গাপ্রতিমাই গড়েন। তবে থিমের প্রতিমাও করেছেন। কবে? তিনি জানালেন, ১৯৯৪ সালে। তেলেঙ্গাবাগানে। কলকাতার প্রথম টাইটেল দিয়ে দুর্গাপুজো সূচনা হয়েছিল আমার হাতেই। ক্যাপশন ছিল ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’। এখন আর সময় পাই না। তাই থিমের কাজ করি না।
বহু বছর ধরেই বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে জ্বালিয়ে রেখেছেন প্রদীপের শিখা। নিজের কাজ সম্পর্কে তিনি বললেন, ‘‘একটা সময় পর্যন্ত বাবা মোহনবাঁশি রুদ্রপালের ব্যানারে কাজ করতাম। পরে নিজের ব্যানারে কাজ শুরু করেছি। আর্ট কলেজে পড়াশোনা। ভাস্কর্য নিয়েই থাকার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু হয়ে গেলাম মৃৎশিল্পী। যদিও এখন কাজটা উপভোগ করি। দিনে দিনে ব্যবসা বাড়ছে। আমার সঙ্গে কাজ করছেন প্রায় ৬০-৬৫ জন। জগদ্ধাত্রী পুজোর এক সপ্তাহ পর থেকেই আমাদের দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। অর্ডার আসতে শুরু করে। অনেকেই জানতে চান কোনও বড় ক্লাব যদি থিম পুজোর দায়িত্ব দেয় আমি নেব কি না। উত্তরে বলি, আমি খুব একটা আগ্রহী নই। কারণ সেই দায়িত্ব দেওয়া হবে এক বছরের জন্য। তাতে বেশি কাজ করার সুযোগ পাব না। ব্যবসা চলবে না। যেভাবে আছি ভালই আছি।’’
অভিজিতের জিৎ
থিম শিল্পী অভিজিৎ ঘটক। আর্ট কলেজের ছাত্র। ২০১৪ সাল থেকে এককভাবে দুর্গাপুজোয় থিমের কাজ করছেন। ছোটবেলায় পুকুরের মাটি তুলে ঠাকুর গড়তেন। অলোক সেনের আর্টের দুর্গাপ্রতিমা তাঁকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করেছিল। আর্ট কলেজে পড়ার সময় মনে মনে সিদ্ধান্ত নেন, বড় হয়ে ঠাকুর গড়বেন। এইভাবেই পথচলা শুরু। এইবছর কোথায় কোথায় দেখা যাবে তাঁর শিল্পকর্ম? জানালেন, ‘‘হাতিবাগান নবীনপল্লি, নেতাজি জাতীয় সেবাদল, আলিপুর ৭৮ পল্লি। হাতিবাগান নবীনপল্লির থিম ‘আমাদের দেশ আমাদের দুর্গা’। ১৯৪২-এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনকে সামনে রেখে এই থিম ভাবা হয়েছে। বহু নারী এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। পুজো মণ্ডপে তেমনই কয়েকজন নারীর কথা তুলে ধরব, যাঁদের কথা খুব বেশি মানুষ জানেন না। এঁরাই আমাদের দুর্গা। নেতাজি জাতীয় সেবাদলের থিমের নাম ‘আবর্ত’। নিওতান্ত্রিক আর্ট ফর্ম নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তন্ত্রকে কেন্দ্র করে ভারতবর্ষের বিভিন্ন শিল্পী ছবি এঁকেছেন। দেখার সুযোগ থাকবে সেইগুলো। সময় এবং স্থান দুটৌই সঞ্চালনশীল। দেখানো হবে সেটাও। আলিপুর ৭৮ পল্লির থিমের নাম ‘কাহিনি’। বিবর্তিত হতে হতে কীভাবে এল দেবী দুর্গার বর্তমান অবয়ব, সেটা তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল সর্বজনীন দুর্গোৎসবে ঠাকুর গড়ছি।’’
আর্ট গ্যালারি এবং পুজো মণ্ডপের মধ্যে পার্থক্য কী? জানালেন, গ্যালারিতে যান মূলত এলিট
দর্শকরা। পুজো দেখতে আসেন আপামর জনসাধারণ। পুজোর আগে কোনও ক্লাব বা পুজো সংগঠন একজন শিল্পীকে ডেকে মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরির দায়িত্ব দেন। এমন ঘটনা বাংলা ছাড়া অন্য কোথাও সম্ভবত দেখা যায় না।
আরও পড়ুন-১৫৭ পড়ুয়া পেল সবুজ সাথীর সাইকেল
সাবেক পুজো সম্পর্কে কী ভাবনা? জানালেন, সাবেক এবং থিম দুটো শব্দকে আমি আলাদা করে দেখতে পারি না। কারণ, যারা কাপড়ের প্যান্ডেল করেন, তাঁরাও কিন্তু একই কাপড় বছর বছর ব্যবহার করেন না। চেষ্টা করেন পরিবর্তন আনার। এই পরিবর্তন তো ভাবনার পরিবর্তন। এইভাবেই সাবেকি পুজোতেও লেগে যায় থিমের ছোঁয়া। ফলে যা সাবেকি, তাই-ই কিন্তু থিম। আমি অন্তত এইভাবেই দেখি।
সাবেক পুজোই হোক বা থিম, গত কয়েক বছরে দুর্গাপুজো ঘিরে মানুষের উন্মাদনা আকাশ ছুঁয়েছে। শিল্পীদের পাশাপাশি নানাভাবে বেড়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের উপার্জন। এর পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে বর্তমান রাজ্য সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলার দুর্গাপুজো আজ হয়েছে বিশ্বজনীন। তাই তো দুর্গাপুজো দেখার টানে বাংলায় ছুটে আসছেন অন্য দেশের মানুষও। এই পুজো অতিক্রম করেছে ধর্মের সীমা। পরিণত হয়েছে উৎসবে। এই উৎসব মহামিলনের উৎসব।