প্রতিবেদন : বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express- Bengal) পাথর ছোঁড়া নিয়ে বিজেপিতে মতবিরোধ। এই ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এনআইএ তদন্ত চাইছেন, সেখানে দাঁড়িয়ে রাজ্যেরই আরও এক বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার সিআইডি তদন্তেই আস্থা রাখছেন। বঙ্গ বিজেপির অন্দরের ঝগড়া এই ইস্যুতে ফের একবার সামনে চলে এল। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে প্রকাশ্যে বলেছেন, ট্রেনে ঢিল ছুঁড়ছেন কেন? ঢিল ছুঁড়তে হয় সঠিক জায়গায় ছুঁড়ুন। ঘর পাচ্ছেন না, বিডিও অফিসে ঢিল ছুঁড়ুন। এভাবেই তিনি সরাসরি ঢিল ছোঁড়ায় প্ররোচনা দিয়েছেন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেছেন, এটা এমন কোনও ঘটনা নয় যে এর জন্য সিবিআই তদন্ত করতে হবে। এর জন্য সিআইডি তদন্তই যথেষ্ট। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করব অবিলম্বে উনি সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিন। তবে সুকান্ত মজুমদারের সঠিক জায়গায় ঢিল ছোঁড়া নিয়ে সুভাষবাবু বা বিরোধী নেতা কোনও মন্তব্য করেননি। এরই মধ্যে এই ইস্যুতে মুখ খুলে সুভাষ সরকারকেই সমর্থন জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, বাংলাকে বদনাম করতেই এসব করা হচ্ছে। যেখানে বিজেপি শক্তিশালী সেখানেই এসব ঘটনা ঘটছে বলেও দাবি করেন তিনি। বিডিও অফিসে ঢিল ছোঁড়ার নিদান দেওয়ায় সুকান্ত মজুমদারের কড়া সমালোচনা করেছেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, উনি একজন সাংসদ হয়ে কীভাবে বেআইনি কাজ করার প্ররোচনা দিচ্ছেন? এই কথা বলার পর ওঁকে অবিলম্বে গ্রেফতার করারও দাবি তোলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। সেই সঙ্গে তাঁর ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। এদিকে টানা দু’দিন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express- Bengal) পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রেল। এই ধরনের ঘটনা রুখতে এবার রাজ্য সরকারের সাহায্য চাইল তারা। এই ঘটনার পর ট্রেনের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। জিআরপি ও আরপিএফ যৌথভাবে একটি বিশেষ দল তৈরি করে ট্রেনের যাত্রাপথে নজরদারি চালাবে। পাশাপাশি চলবে প্রচার।