নয়াদিল্লি: রাজনৈতিক প্রচারে বিদেশে পাচার হওয়া কালো টাকা উদ্ধারে নিজেদের কৃতিত্ব দাবি করে থাকে মোদি সরকার। কিন্তু বাস্তব বলছে অন্য কথা। আসলে দেশ থেকে পাচার হওয়া কালো টাকার সরকারি হিসাবই নেই কেন্দ্রের কাছে। লোকসভায় এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তা স্বীকার করেছে বিজেপি সরকার।
আরও পড়ুন-নজর কাড়ল পোষ্য…
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে, আয়কর আইন, ১৯৬১ অথবা কালো টাকা (অঘোষিত বিদেশি আয় ও সম্পদ) ও কর আরোপ আইন, ২০১৫-তে ‘কালো টাকা’ বা ‘ব্ল্যাক মানি’ নামক কোনও নির্দিষ্ট শব্দবন্ধের ব্যবহার নেই। কেন্দ্রীয় অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য জানিয়েছেন। তৃণমূল সাংসদ জানতে চেয়েছিলেন, গত দশ বছর ধরে বছরভিত্তিক কত কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং দেশ থেকে বাইরে পাচার হয়েছে? এর জবাবে মন্ত্রী জানান যে, কালো টাকা (অঘোষিত বিদেশি আয় ও সম্পদ) ও কর আরোপ আইন, ২০১৫ কার্যকর হয় ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে। এই আইনের অধীনে, ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনমাসের এককালীন কমপ্লায়েন্স উইন্ডো চালু করা হয়েছিল। এই সময়ে অঘোষিত বিদেশি সম্পত্তির বিষয়ে মোট ৬৮৪টি ঘোষণা আসে, যার মূল্য ছিল ৪,১৬৪ কোটি টাকা। এই ঘোষণার ভিত্তিতে কর ও জরিমানা বাবদ প্রায় ২,৪৭৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। এছাড়াও, ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কালো টাকা আইনের অধীনে মোট ১,০৮৭টি অ্যাসেসমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে। এই অ্যাসেসমেন্টগুলির মাধ্যমে কর ও জরিমানা বাবদ মোট ৪০,৫৬৪ কোটি টাকারও বেশি দাবি উঠেছে। ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এই আইন অনুসারে ধার্য হওয়া কর, জরিমানা এবং সুদের বিপরীতে মোট ৩৩৯ কোটি টাকা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে, গত দশ বছরে দেশ থেকে ঠিক কত পরিমাণ অঘোষিত আয় বা কালো টাকা বাইরে পাচার হয়েছে, সে বিষয়ে সরকারের কাছে কোনও নির্দিষ্ট ও সরকারি অনুমান নেই বলে মন্ত্রী জানান।

