প্রতিবেদন: গত পাঁচ বছরে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’তে মোট কত ব্যয় হয়েছে তার হিসাব পেশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায়ের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত চৌধুরী। তিনি বলেছেন,‘পরীক্ষা পে চর্চা’ শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের পরীক্ষার সাথে সম্পর্কিত সমস্যা, উদ্বেগ এবং গল্প শেয়ার করার জন্য একটি অনুকূল প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে একটি শিশুর জীবনে পরীক্ষার প্রক্রিয়াটিকে স্বাভাবিক করে তোলা যায়। সর্বশেষ ‘পরীক্ষা পে চর্চা’তে ৫ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবক অংশ নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন-রাজ্যে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কমেছে ৫৮ শতাংশ, সংসদে বকেয়া আদায়ের নোটিশ তৃণমূলের
সাংসদ মালা রায়ের অন্য একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানান, জাতীয় প্রতিভা অনুসন্ধান প্রকল্পের অধীনে এনসিইআরটি কর্তৃক জাতীয় প্রতিভা অনুসন্ধান পরীক্ষা পরিচালিত হয়, যা ব্যতিক্রমী ক্ষমতা এবং প্রবণতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত এবং পুরস্কৃত করার জন্য ১৯৬৩ সাল থেকে চালু রয়েছে। এই সম্পর্কিত মূল্যায়ন প্রতিবেদনে প্রকল্পের নকশা এবং বাস্তবায়নে বেশ কয়েকটি সীমাবদ্ধতা দেখা গিয়েছে। যেমন: বৃত্তি প্রাপকদের মধ্যে গ্রামীণ এলাকা, মেয়ে এবং কিছু রাজ্যের ক্রমাগত কম প্রতিনিধিত্ব, দীর্ঘ ভ্রমণের দূরত্বের কারণে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের অভাব, আর্থিক সহায়তার অপ্রতুলতা, অকার্যকর লালনপালন এবং প্রকল্পের অপর্যাপ্ত প্রচার। ফলস্বরূপ, জাতীয় শিক্ষানীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে এর সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য প্রকল্প এবং প্রধান উপাদানগুলির ব্যাপক পর্যালোচনা চলছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের বাজেট বরাদ্দ ২০২১-২২ সালের জন্য ৯৩,২২৪ কোটি টাকা থেকে ২০২২-২৩ সালে ১,০৪,২৭৮ কোটি টাকা, ২০২৩-২৪ সালে ১,১২,৮৯৯ কোটি এবং ২০২৪-২৫ সালে ১,২১,১১৮ কোটি টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি হয়েছে। এর থেকে স্পষ্ট যে কেন্দ্রের কাছে তহবিলের অভাব নেই।