অনুরাধা রায়: মাস পেরলেই পুজো। মহালয়ার পর থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে যেতে শুরু করবে প্রতিমা। দেশের বাইরে প্রতিমা চলে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। বিশ্বকর্মা পুজোর পরদিন থেকে কুমোরটুলির বেশ কয়েকটি প্রতিমা পাড়ি দেবে রাজ্যের বাইরে। হাতে আর সময় নেই। তাই দিন-রাত এক করে কাজ করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। এরমধ্যেই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আবহাওয়া। কখনও রোদ, কখনও বৃষ্টি। আবার কখনও গভীর নিম্নচাপের পূর্বাভাস। আর তাতেই দুশ্চিন্তার ভাঁজ শিল্পীদের কপালে। তাই রাত জেগে চলছে কাজ।
আরও পড়ুন-নিউ মার্কেট সংস্কারে ৮০ লক্ষ
যেদিন রোদঝলমলে আবহাওয়া থাকছে সেদিন প্রতিমা শুকোতে সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু মেঘলা আবহাওয়ায় প্রতিমা শুকোতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে শিল্পীদের। পাখার হাওয়ায় ভরসা করতে হচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে কাজের। যাঁদের কাজের জায়গা ছোট সেই শিল্পীরা স্টুডিওর বাইরেও প্রতিমা তৈরি করেন। কিন্তু বৃষ্টি হলে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে কাজ করতে হচ্ছে। ঝিরঝিরে বৃষ্টির মধ্যে কাজ করতে করতে শিল্পী বিমল পাল বলেন, দু’বছর করোনার কারণে পুজোর আড়ম্বর ছিল না।
আরও পড়ুন-আকর্ষণীয় মণ্ডপে থ্রিডি পিলার, কিয়স্কে মিলবে তথ্য, মহানগরীর পুজো এবারে পর্যটনের ব্র্যান্ড
এইবছর আমাদের ব্যস্ততা বেড়েছে। কিন্তু আবহাওয়া প্রতিকূল। যখন-তখন বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমার সমস্ত প্রতিমা স্টুডিওর ভিতরেই তৈরি হয়, কিন্তু রোদ না থাকলে এত বড় বড় প্রতিমা শুকোচ্ছে না। কীভাবে কাজ শেষ করব সেই নিয়ে চিন্তায় পড়েছি। তবে আবহাওয়া যতই প্রতিকূল হোক, চেনা ব্যস্ততা ফিরে পেয়ে রাত-দিন এক করে কাজ করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। তাঁদের আশা মা দুর্গার আশীর্বাদে প্রকৃতিও সহায় হবে।