প্রতিবেদন : ২৬-এ খেলা হবে। বড় খেলা হবে। রবিবার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ভাষাসন্ত্রাস ও বাংলাবিদ্বেষের প্রতিবাদে জয় হিন্দ বাহিনীর ধরনামঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে উঠে তিনি বলেন, খেলার জন্যই তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২৬-এ বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। এবার বড় খেলা হবে। বাংলাকে বঞ্চনার পাশাপাশি বাঙালির আত্মসম্মান, বাংলা ভাষা নিয়ে যে খেলা শুরু করেছে বিজেপি, বাংলার মানুষ তার জবাব দেবে বিধানসভা নির্বাচনে। অরূপের সাফ কথা, বিজেপি ইতিহাস পড়েনি। ওদের জানা দরকার কীভাবে বাঙালিরা জীবন দিয়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন। বাঙালিরা কীভাবে দেশের সম্মানরক্ষা করেছিলেন। প্রয়োজনে ইংল্যান্ডে গিয়ে জেনে আসুন বিজেপি নেতারা। এদিন ধরনা অবস্থানে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডে, মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ বক্সি, রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, বিধায়ক অশোক দেব, মদন মিত্র, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ প্রমুখ। ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার শরদিন্দু মুখোপাধ্যায়, জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন সাংসদ অপরূপা পোদ্দার প্রমুখ।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের যুবনেতা খুনে ধৃত আরও ২
অরূপ বিশ্বাস বলেন, ভোটার তালিকা থেকে রাজ্যের নাগরিকদের নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত করছে বিজেপি। তার জবাব বাংলার মানুষই দেবে। অরূপের চ্যালেঞ্জ, ওরা বাংলাকে যত বঞ্চিত করবে, তত গর্জে উঠবে বাংলা। যত বাঙালিবিদ্বেষ ও যত বাংলা ভাষার উপর সন্ত্রাস চালাবে তত হারবে বিজেপি। বিজেপি বাংলার ইতিহাস জানে না, স্বাধীনতার ইতিহাস জানে না। আজ বাংলা অপমানিত, বাংলা ভাষা অপমানিত। তাই বাংলার মানুষকে কোনওভাবেই দমিয়ে রাখা যাবে না, সে ক্ষমতা বিজেপির নেই। বিজেপির বাংলাবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে যে আন্দোলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেছেন, তাতে দলমত নির্বিশেষে যোগ দেওয়ার বার্তা দেন অরূপ।
আরও পড়ুন-দেশে এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত, দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, এ দেশের মাটিতে দেশেরই নাগরিকদের এভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। তাঁদের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হচ্ছে। আমি জার্মানিতে কনসেনট্রেশন ক্যাম্প দেখেছি। ভাবা যায় না! এখন এ-দেশেও এসব চলছে। ক’দিন আগে কেরলে কর্মরত বাংলার এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হল। এখন রাত দখলের হোতাদের হৃদয় কাঁদছে না? এ-দেশে এখন স্বৈরাচারী শক্তি জেগে উঠেছে। এদের রুখতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাত শক্ত করতে হবে।