ওরা বাংলার নাম শুনলেই কাঁপবে

ফের গর্জে উঠল ধর্মতলা চত্বর। ভাষা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবার সোচ্চার প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসােসিয়েশন। উপচে পড়ল ডোরিনা ক্রসিং

Must read

প্রতিবেদন : ফের গর্জে উঠল ধর্মতলা চত্বর। ভাষা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবার সোচ্চার প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসােসিয়েশন। উপচে পড়ল ডোরিনা ক্রসিং। জেলার বিভিন্ন কোণ থেকে এসেছিলেন ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান-সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর্মী। রবিবারের ধর্মতলা কার্যত তাঁরাই দখল করে নেন। রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থেকে বিজেপির বাংলা বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শপথ নেন। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সভানেত্রী মন্ত্রী শশী পাঁজা। বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।মঞ্চ থেকে আওয়াজ উঠল, বাংলা ছিল-আছে-থাকবে। আর ওরা বাংলা শুনলেই কাঁপবে।

আরও পড়ুন-বাংলায় এসএসসি-র সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, পুলিশ ফের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ, সাড়ে তিন লক্ষ প্রার্থীর নিয়োগ পরীক্ষা নির্বিঘ্নে

সংগঠনের সভাপতি ডাঃ শশী পাঁজা এদিন বলেন, আমাদের এই সংগঠনের বয়স একবছরও হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গোটা রাজ্যের চিকিৎসাক্ষেত্রের সমস্ত মানুষ এক হয়েছি শুধুমাত্র বাংলার চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে বাংলা-বিরোধী বাম-বিজেপির কুৎসা-অপপ্রচার রুখে দেওয়ার জন্য। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের মতো দূরদূরান্তের জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলির প্রতিনিধিরাও আজ এখানে উপস্থিত হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। সভাপতি ডাঃ শশী পাঁজার নেতৃত্বে এদিন ধরনায় ছিলেন সংগঠনের সম্পাদক ডাঃ করবী বড়াল, ডাঃ মানস ভুঁইয়া, ডাঃ শর্মিলা সরকার, ডাঃ নির্মল মাজি, ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায়, ডাঃ সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, মৃত্যুঞ্জয় পাল-সহ আরও অনেকে।

আরও পড়ুন-খুশি শিক্ষামন্ত্রী

আবার ধরনামঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরজি কর নিয়ে বাম-রামের কুৎসা-অপপ্রচার আর নোংরা রাজনীতির কথা তুলে ধরেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, আরজি করের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। কিন্তু সেই ঘটনা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করতে নেমেছিল কারা? যাঁদের জমানায় বানতলায় ডাঃ অনিতা দেওয়ানকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল, সেই নির্লজ্জ সিপিএম। আর কয়েকদিন আগে যাঁদের মধ্যপ্রদেশে একজন নার্সকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে, সেই নির্লজ্জ বিজেপি। কলকাতা পুলিশ ২৪ ঘণ্টায় খুনি-ধর্ষককে ধরেছিল। দীর্ঘ তদন্তের পর সিবিআইও বলেছে, পুলিশের তদন্তই সঠিক। তিনটে আদালতে বিস্তারিত শুনানিতেও সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু মানুষের আবেগকে বিপথে চালিয়ে বীভৎস রাজনৈতিক কাজকর্ম চালিয়েছে বাম-বিজেপি। সব মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তারদের বের করে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিল। কোর্ট ওঁদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে। বিজেপির বাংলা-বিদ্বেষের পাশাপাশি বাংলার চিকিৎসাব্যবস্থাকে বদনাম করতে বাম-রামের এই ষড়যন্ত্রেরও মুখোশ খুলে দেন কুণাল ঘোষ।

Latest article