প্রতিবেদন : দার্শনিক জন লক বলেছিলেন, শিশুদের মন সাদা অলিখিত কাগজের মতো। তাই এইসময়ই তাঁদের যাবতীয় শারীরিক ও মানসিক সচেতনতামূলক পাঠ দেওয়া উচিত, যাতে আগামী দিনগুলো তাদের জন্য সহজ হয়ে ওঠে। আর সেই কারণেই স্কুল শিক্ষায় এবার বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। বয়ঃসন্ধিকালের বিভিন্ন সমস্যা-সহ শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে স্কুলে-স্কুলে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। পুরসভার সঙ্গে যৌথভাবে এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর, ন্যাশনাল হেলথ মিশন এবং ইকো ইন্ডিয়া। সম্প্রতি পুরভবনে এই ‘স্কুল হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস প্রোগ্রাম’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডাঃ তপনকুমার মুখোপাধ্যায়, ডেপুটি সিএমএইচও ডাঃ বিভাকর ভট্টাচার্য এবং ইকো ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাঃ সন্দীপ ভাল্লা প্রমুখ।
আরও পড়ুন-হালকা বৃষ্টি, রবিবার পর্যন্ত উপকূলে জারি সতর্কতা
প্রথমে ডায়মন্ড হারবারের একাধিক স্কুলে এই পাঠ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্কুল থেকে শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে এর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। স্কুলে গিয়ে বাচ্চাদের প্রশিক্ষণ দেবেন তাঁরা। মুখ্য ভূমিকায় থাকবেন পুরসভার চিকিৎসক-প্রশিক্ষকরা। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডাঃ তপনকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের শরীর ও মন সুস্থ রাখতেই এই স্কুল হেলথ প্রোগ্রামের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। মূলত পুষ্টিকর খাবার, বয়ঃসন্ধিকালের বিভিন্ন সমস্যা ও তার প্রতিকার-সহ মোট ১৭টি মডেল নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। সপ্তাহে দু’দিন করে হবে এই বিশেষ ক্লাস। বয়ঃসন্ধিকালে একজন কিশোর ও কিশোরীর দেহে কী কী পরিবর্তন হয়, ওই সময়ে নারী-পুরুষের একে অপরের প্রতি আকর্ষণ কিংবা মেয়েদের ঋতুস্রাব নিয়ে ছেলেদের মানসিকতা পরিবর্তনের মাধ্যমে চলবে প্রশিক্ষণ। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশু অবস্থাতেই এই ধরনের পাঠ দেওয়া উচিত। কারণ, এই সময় কোনও রাখঢাক না রেখেই মানসিক স্বাস্থ্য, যৌন শিক্ষা ও সচেতনতার পাঠ দেওয়া যায়। আর শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও যে সমানভাবে জরুরি, তা নিয়েও শিশুদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করা যায়।