জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের (National Health Mission) বকেয়া নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজ সহ একাধিক প্রকল্পে বকেয়া নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতা থেকে দিল্লি, এই ইস্যুতে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে বিধানসভায় বঞ্চনায় বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাচ্ছে তৃণমূল। তার মাঝেই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
চিঠিতে লিখেছেন, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের বরাদ্দ আটকে রয়েছে। নির্দিষ্ট রঙ করার শর্ত দিয়ে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ করে এই বরাদ্দ যাতে আটকে রাখা না হয়, তার আর্জি জানিয়েছেন এবং বিষয়টিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের কথা বলেছেন তিনি। চিঠিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “আপনি জানেন যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সমাজের দরিদ্র এবং প্রান্তিক অংশের উপর বিশেষ জোর দিয়ে জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেয়। আমাদের প্রচেষ্টায়, আমরা বিনামূল্যে সকলকে সাশ্রয়ী, সহজলভ্য এবং মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছি। গত ১২ বছরে স্বাস্থ্যসেবার জন্য আমাদের বাজেটে বরাদ্দ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য উদ্যোগ যেমন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নির্মাণ, স্বাস্থ্যসাথী, শিশুসাথী, মাতৃমা, চোখের আলো, ইত্যাদি সফলভাবে চালু করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে বিপুল সংখ্যক মানুষ এর থেকে উপকৃত হয়েছেন। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন-এর অধীনেও, পশ্চিমবঙ্গ সবসময়ই বিভিন্ন জনস্বাস্থ্য কর্মসূচী বাস্তবায়নে আগে রয়েছে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পের অংশ হিসাবে রাজ্যে স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য অত্যন্ত ভাল কাজ করছে। আপনি জেনে খুশি হতে পারেন যে বর্তমানে প্রায় এগারো হাজার কার্যকরী স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র রয়েছে যার দ্বারা প্রতিদিন তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। এই ভবনগুলি ২০১১ সাল থেকে রাজ্যের রঙের ব্র্যান্ডিং অনুসারে তৈরি করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন-বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার জের, ১১ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে FIR
এর পরেই অভিযোগ জানিয়ে চিঠিতে লিখেছেন, “এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, সম্প্রতি আমাকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে তহবিল প্রকাশ বন্ধ করে দিয়েছে।” কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, অন্যান্য শর্ত থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্রগুলির জন্য নির্দিষ্ট রঙের ব্র্যান্ডিং-এর নির্দেশিকার কারণেই আটক করে রাখা হয়েছে বরাদ্দ।