প্রতিবেদন: ১৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে আগে বর্ষা ঢুকল দেশে। কেরলের আকাশে ইতিমধ্যেই গর্জন শুরু হয়েছে। চলতি বছর দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু কেরলে ঢুকতে চলেছে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই, যা ১ জুনের সাধারণ সময়সূচির তুলনায় প্রায় এক সপ্তাহ আগেই। গত ১৬ বছরে এই প্রথম এত আগেই বর্ষার প্রবেশ ঘটতে চলেছে দক্ষিণ ভারতের এই উপকূলীয় রাজ্যে। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি) জানিয়েছে, কেরলের উপরে ইতিমধ্যেই বর্ষার প্রবেশের সমস্ত অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গত দুই দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। নিম্নচাপ এবং অগ্রসরমান মৌসুমী বায়ুর যুগল প্রভাবে এই বৃষ্টির সূত্রপাত।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথগ্রহণ নিয়ে সই-জালিয়াতির অভিযোগ, তীব্র শোরগোল
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে শেষবার এত আগেই বর্ষা কেরলে এসেছিল, ঠিক ২৩ মে। তবে ইতিহাসে সবচেয়ে আগে বর্ষা এসেছিল ১৯১৮ সালের ১১ মে। আবার সবচেয়ে দেরিতে বর্ষা ঢোকার নজির রয়েছে ১৯৭২ সালের ১৮ জুন। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার কেরল, কর্নাটক এবং কোঙ্কন-গোয়ার কিছু অংশে বিচ্ছিন্নভাবে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ২৯ মে পর্যন্ত কেরল এবং উপকূলীয় কর্নাটকে দমকা হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি চলবে বলে পূর্বাভাস। সেইসঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে। তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশেও আগামী পাঁচদিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, পূর্ব-মধ্য আরব সাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে যা মহারাষ্ট্র উপকূলে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। শুক্রবার রাত থেকে গোয়া ও মহারাষ্ট্র উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আইএমডি মহারাষ্ট্র ও গোয়ার উপকূলের জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে এবং নদী ও জলপ্রপাত থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। মুম্বইয়েও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে দিল্লি এবং আশপাশের এলাকাগুলিতেও বৃষ্টির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। দক্ষিণ দিল্লি ও এনসিআর-এ কিছু অংশে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। দমকা হাওয়ার গতিবেগ ৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে।