তৈরি হল তৃণমূল কংগ্রেসের চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের প্রাথমিক কেন্দ্রীয় কমিটি। এতদিন যা ছিল না। দলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এর উদ্যোগে হল এই অসাধ্য সাধন। এই কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন নকুল সরান। ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন দীপক প্রধান৷ সভাপতি করা হয়েছে বীরেন্দ্র বরা ওঁরাওকে। এরাজ্যের চা বাগান ইউনিয়নের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো জনজাতি গোষ্ঠী থেকে সভাপতি হলেন। কার্যকরী সভাপতি হয়েছেন মান্নালাল জৈন। সাধারণ সম্পাদক পুলিন গোলদার।
এছাড়াও পাঁচ জনকে করা হয়েছে ভাইস প্রেসিডেন্ট। সংগঠনের প্রচুর শ্রমিক সদস্যকে এক্সিকিউটিভ কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে। এটি প্রাথমিক কমিটি। এমাসের মধ্যে আরও বাড়ানো হবে কমিটির সদস্য৷ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠন থেকে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হয়েছে। অনেকেই তাদের সংগঠন নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি যোগ দেবেন তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়ন এর সঙ্গে।
আরও পড়ুন-Missionaries of Charity : চাপে পড়ে অনুমোদন
বাংলায় ৩০৩ টি চা বাগান রয়েছে। সম্প্রতি ঠিক হয়েছে চা বাগানে আইএনটিটিটিউসি অনুমোদিত একটিই সংগঠন থাকবে। যে কারণে তৈরি করা হয়েছে তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়ন। যারা বাগানের শ্রমিকদের স্বার্থে কাজ করবে। বাগান মালিকদের সঙ্গে শ্রমিকদের দাবি দাওয়া নিয়ে সমন্বয় রেখে চলবে।
রাজ্যের চা বাগান গুলিতে কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করেন। বাম আমলে তাদের করুণ অবস্থা ছিল। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারে আসার পর একটু একটু করে তাদের মজুরি বৃদ্ধি, বোনাস, ঘরবাড়ি তৈরির খরচ সহ একাধিক বিষয়ে নজর দেওয়া হয়। শ্রমিক আন্দোলোনের জেরে অনেক বন্ধ বাগান খোলার ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন-পন্থকে না খেলানোর পরামর্শ মদন লালের
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় দলের শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়ার পর উঠে পড়ে লাগেন চা বাগানের অসংগঠিত শ্রমিকদের একটি ছাতার তলায় নিয়ে আসার। সে কাজে তিনি সফল। এবার কেন্দ্রীয় কমিটিও তৈরি হয়ে গেল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের। যাকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় জানালেন, এখন তাঁদের লক্ষ্য প্রত্যেকটি বাগানে ফাংশনাল ইউনিট খোলা। আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই এই কাজ শেষ করতে চাইছেন তারা। তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি কতটা অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে সেটাই ভাবাচ্ছে। তবে কাজ থেমে নেই।