এই প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মুসলিম প্রতিনিধি-শূন্য

কোনও মিল নেই কথায় আর কাজে। মুখে এক কথা, মনের মধ্যে ঠিক তার উল্টোটা। এই কথাটা আবার প্রমাণ করলেন নরেন্দ্র মোদি।

Must read

প্রতিবেদন: কোনও মিল নেই কথায় আর কাজে। মুখে এক কথা, মনের মধ্যে ঠিক তার উল্টোটা। এই কথাটা আবার প্রমাণ করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএর সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হয়ে তিনি বলেছিলেন, জোটের আদর্শ ও নীতি হল সর্বপন্থা সমভাব, যার অর্থ সব ধর্মকে এক ভাবা। ভেদাভেদ না করা। সবাইকে নিয়ে চলা। তিনি বলেছিলেন, সেই নীতিতে বিশ্বাস রেখেই এই জোট সরকার চলবে। আগামী দিনে এগিয়ে যাবে।

আরও পড়ুন-জম্মু-কাশ্মীরে হামলার দায় স্বীকার পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের, তদন্তে এনআইএ, ড্রোন উড়িয়ে তল্লাশি সেনার

গত শুক্রবার পুরোনো সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে দেওয়া ওই আশ্বাসবাণীর ৪৮ ঘণ্টা পর রবিবার সন্ধ্যায় ৭২ সদস্যের যে মন্ত্রিসভা গঠিত হল, তাতে একজন মুসলিমেরও স্থান হয়নি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাঁচজন মন্ত্রী হলেও বিজেপি সহ জোটের কোনও শরিক কোনও মুসলিমকে মন্ত্রী করেনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান এই প্রথম মুসলিমবর্জিত হয়ে রইল। মোদির বিজেপিতে মুসলিমদের যে স্থান নেই, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এবারের নির্বাচনী প্রচারে বিভিন্ন জনসভায় কংগ্রেস ও মুসলিমদের কীভাবে তিনি সমার্থক করে তুলেছেন, তা–ও সবার জানা। তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে তিনি মুসলিম লিগের ছায়া দেখেছেন। তারা অন্যদের সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে বিলিয়ে দেবে, সে কথাও শুনিয়েছেন। এসব কথা তিনি যখন বলেছিলেন তখন তাঁর ধারণা ছিল না, তাঁর দল নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা থেকে ৩২ ধাপ দূরে থমকে যাবে। সরকার গড়ার তাগিদে বাধ্য হয়েই তাঁকে এখন ‘সর্বপন্থা সমভাব’–এর কথা বলতে হচ্ছে। তবে মন্ত্রিসভায় স্থান দেননি একজন মুসলিমকেও। এক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞর কথায়, ইচ্ছা থাকলে বিজেপির কাছাকাছি থাকা বা তাদের সরকারের সমর্থক কাউকে মন্ত্রিসভায় আনতেই পারতেন। পরে তাঁদের রাজ্যসভা থেকে জিতিয়ে আনা যেত। এবারের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ৭৮ জন মুসলমান প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে জিতেছেন ২৪ জন। এই ২৪ জনের মধ্যে ২১ জনই ‘ইন্ডিয়া’ জোটের। বাকি তিনজনের একজন হলেন হায়দরাবাদের এআইএমআইএমের আসাউদ্দিন ওয়েইসি। অন্য দু’জন কাশ্মীর উপত্যকার দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার রশিদ ও মহম্মদ হানিফা। এবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে মন্ত্রী হয়েছেন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে হরদীপ পুরী ও রবনীত সিং বিট্টু শিখ ধর্মাবলম্বী। জর্জ কুরিয়েন খ্রিস্টান। রামদাস আটওয়ালে ও কিরেন রিজিজু বৌদ্ধ। ২০০৪ ও ২০০৯ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের সময় মুসলিম মন্ত্রীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে চার ও পাঁচজন। তার আগে অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন বিজেপির শাহনাওয়াজ হুসেন মুক্তার আব্বাস নাকভি ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লাহ।

Latest article