প্রতিবেদন : উপনির্বাচনেও ৬-এ ৬। যাবতীয় কুৎসা, অপপ্রচারের জবাব দিল মানুষ। বিরোধীরা সেই শূন্যই থেকে গেল। শুধু তাই নয় বিজেপির দখলে থাকা মাদারিহাটও এবার ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। কোচবিহারের সিতাইয়ে রেকর্ড ভোটে জয় এসেছে। দক্ষিণের শহরাঞ্চলেও মানুষের মন জয় করেছে তৃণমূল। মেদিনীপুর, নৈহাটিতেও ব্যাপকভাবে ভোট পেয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। এছাড়া বাঁকুড়ার তালডাংরা এবং উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়াতেও প্রত্যাশিত জয় এসেছে। বিশেষ করে লক্ষণীয় উত্তরের চা-বলয়ে নিজেদের জমি শক্ত করতে সমর্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাগান শ্রমিকরা ঢেলে ভোট দিয়েছেন প্রার্থীকে। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই মানুষ বুঝেছেন তৃণমূলের কোনও বিকল্প নেই। বিজেপি শুধু প্রতিশ্রুতি আর উগ্র হিন্দুত্ববাদের সেই পুরনো রসায়ন সামনে রেখেই বারবার ভোটের ময়দানে আসছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু করছে না। তাই মানুষ তাদের থেকে মুখ ফেরাচ্ছে বারবার। আসলে বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের যে রথ চলছে তাতে শামিল হতে চান আট থেকে আশির সকলে। সিপিএম-কংগ্রেসের কথা যত কম বলা যায় ততই ভাল। আরজি করের ঘটনার পর বিরোধীরা মনে করেছিলেন এই প্রভাব পড়বে ভোট বাক্সে, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, এই ঘটনার কোনও প্রভাবই গ্রামে তো বটেই শহরেও পড়েনি। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে মানুষের মন জয় করে সসম্মানে উত্তীর্ণ হতে পেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটেও। শত অপপ্রচার সত্ত্বেও মানুষ আস্থা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে। কারণ বাংলার মানুষ জানেন শীত-গ্রীষ্ম-বরষা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভরসা।
আরও পড়ুন- জেলযাত্রার চক্রান্ত সাজিয়েও ঝাড়খণ্ডে ঘাড়ধাক্কা বিজেপির, বাংলায় তৃণমূল ৬-এ ৬