প্রতিবেদন : দু’মাস ধরে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে রাশিয়া এখনও পর্যন্ত ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশকে পুরোপুরি দখল করে উঠতে পারেনি। রাশিয়ার তুলনায় সামরিক শক্তিতে ইউক্রেন অনেক পিছিয়ে। কিন্তু সে দেশের সেনা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির নেতৃত্বে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালাচ্ছেন। যুদ্ধ শুরুর আগে ব্রিটেন, ফ্রান্স, আমেরিকার মতো একাধিক দেশ সরাসরি ইউক্রেনকে সাহায্য করার কথা জানালেও বাস্তবে তাদের যুদ্ধের ময়দানে অবতীর্ণ হতে দেখা যায়নি। তবে তারা অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে জেলেনস্কির দেশকে সাহায্য করেছে। এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এক কিয়েভকে অত্যাধুনিক ড্রোন ‘ফিনিক্স ঘোস্ট’ দিচ্ছে আমেরিকা।
পেন্টাগন জানিয়েছে, এই অত্যাধুনিক ড্রোন তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ইউক্রেনে (Ukraine) পাঠানোর আগে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। পেন্টাগনের প্রেস সচিব জন কিরবি জানিয়েছেন, ইভেক্স অ্যারোস্পেস নামের এক সংস্থা এই অত্যাধুনিক ড্রোন তৈরি করেছে। প্রধানত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে লড়াই চালানোর জন্য এই ড্রোন তৈরি করা হয়েছে। সম্প্রতি দেশের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। সেই সাহায্যের আওতাতেই এই অত্যাধুনিক ড্রোনগুলি তৈরি করে পাঠানো হচ্ছে। তবে এই ড্রোনগুলির ক্ষমতা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকার করেন তিনি। কিরবি বলেছেন, এই ড্রোনের ক্ষমতা এতটাই যে বিশ্বাস হবে না। এই আক্রমণাত্মক ড্রোন ফিনিক্স ঘোস্ট অবশ্য একমুখী। বিশেষ কারণের জন্যই এগুলি তৈরি করা হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যেই কিয়েভে পাঠানো হবে।
এদিকে ইউক্রেনের (Ukraine) বিরুদ্ধে রাশিয়ার আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। শনিবারও ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের শহরগুলি লক্ষ্য করে রাশিয়া একের পর এক গোলাগুলি ও ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করেছে। মারিউপোল-সহ বেশকিছু শহর কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। রুশ হানায় বহু সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এই অবস্থায় অবিলম্বে যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্য নিয়ে সোমবার মস্কো যাচ্ছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।