সংবাদদাতা, কাঁথি : ইডি, সিবিআইয়ের পর এবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ‘ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’ (এনআইএ)-কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠল। পুরসভার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে (Trinamool Congress) জব্দ করতে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বিভিন্ন মামলায় এনআইএ যুক্ত করছে বলে শাসক দলের অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের তদন্তের নামে এনআইএ দফতরে হাজিরা দেওয়ার নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে বিঘ্ন ঘটানোর জন্য বিজেপি পরিকল্পিতভাবে কিছু বঙ্গ নেতার অঙ্গুলিহেলনে এমন চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মধ্যে ২৭ ফেব্রুয়ারি কাঁথি, এগরা ও তমলুক পুরসভার ভোট। ইতিমধ্যে এই তিনটি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) হয়ে সংখ্যালঘু কর্মী-সমর্থকদের নেতৃত্ব দিয়ে প্রচারে ঝড় তুলেছেন জেলা সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি আনোয়ারউদ্দিন। তিনি কাঁথির মাজনার বাসিন্দা। গত ৩ জানুয়ারি রাতে খেজুরির পশ্চিম ভাঙনমারি গ্রামের বিস্ফোরণের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনআইএ সেই আনোয়ারউদ্দিনকে নোটিশ পাঠিয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি এই জেলা সংখ্যালঘু নেতৃত্বকে এনআইএ-র কলকাতার দফতরে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু এদিন আনোয়ারউদ্দিন এনআইএ দফতরে যাননি। তিনি এনআইএ দফতরে ইমেল করে জানিয়ে দেন, ভোটের প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন। ভোটের পর যে কোনও দিন এনআইএ দফতরে যেতে রাজি আছেন। আনোয়ারউদ্দিন জানান, “খেজুরির বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। এ নিয়ে আমি কিছুই জানি না। গত কয়েকদিন বিজেপির এক রাজ্য নেতাকে বিভিন্ন সভা থেকে আমি যোগ্য জবাব দিচ্ছিলাম। তাই আমার কাছে এনআইএ-র নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এভাবে আমাকে দমিয়ে রাখা যাবে না। এই মুহূর্তে দলের প্রচার ছেড়ে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।” এই ঘটনাকে পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক হিংসা বলে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ। রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির দাবি, “কাঁথি সহ অন্যান্য পুরসভার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপি এঁটে উঠতে পারবে না। প্রচারে বেরিয়ে এই সরল সত্যটা বিজেপি ইতিমধ্যে বুঝে গিয়েছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে ব্যবহার করা হচ্ছে।”