প্রতিবেদন : তাঁর অপরাধ, তিনি বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বড় সমালোচক। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী পদে যোগ্যতম বলে মন্তব্য করেছিলেন। তায় তিনি বিশ্বভারতীর আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে চলেছেন। সঙ্গে সঙ্গে নখ-দাঁত বের করে ঝাঁপিয়ে পড়ল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। শান্তিনিকেতন তথা দেশের গর্ব নোবেলজয়ী অমর্ত্যর সেনের কাছে ১৩ ডেসিম্যাল জায়গা ফেরত চেয়ে চিঠি পাঠাল। প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন বলেন, প্রতীচীর বাড়ির জায়গা কেনেন অমর্ত্যর পিতা আশুতোষ সেন। পাশের জমিটি কেনেন দাদু ক্ষিতিমোহন। ৯০ বছর আগে। এর দায় ওঁর উপর বর্তায় না।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
অমর্ত্যর আরেক অপরাধ তিনি উপাচার্যের তুঘলকি কাণ্ড, মামলা ও সাসপেনশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়েছেন। ২৬ জানুয়ারি প্রতীচীর বাড়িতে কথা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভানেত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য জানান, তাঁদের কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে উনি দেখা করার সুযোগ দিয়েছেন। একজন অধ্যাাপকও দলে থাকতে পারেন।
বিশ্বভারতীর এই ন্যক্কারজনক কাজের নিন্দায় সরব গোটা দেশ। চারিদিকে ছিছিক্কার উঠেছে। অমর্ত্য অবশ্য এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।