সংবাদদাতা, দিঘা : সমুদ্রে চলছে মাছ ধরার ‘ব্যান পিরিয়ড’। তা শেষ হবে ১৪ জুন। তাই টাটকা ইলিশের জোগান নেই বাজারে। এমন সময়ই ১২ জুন বুধবার পড়েছে জামাইষষ্ঠী। ফলে জামাইয়ের পাতে এবার পড়বে হিমঘরের ইলিশ। সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলায় দিঘা-সহ উপকূল এলাকার মৎস্যজীবীরা যেতে পারেননি সমুদ্রে। স্বাভাবিকভাবেই বাজারে আসেনি টাটকা ইলিশও। গত বছর জামাইষষ্ঠীতে গৃহস্থের ইলিশের চাহিদা পূরণ করেছিলেন ওড়িশার মৎস্যজীবীরা। এ বছর ওড়িশা সরকার ব্যান পিরিয়ডে মাছ ধরার ব্যাপারে বেশ কড়া মনোভাব দেখানোয় সেখানের ইলিশেও বাড়ন্ত। তাই এবার দিঘা ও শঙ্করপুরের কোল্ড স্টোরেজের ইলিশে সন্তুষ্ট থাকতে হবে শাশুড়ি-জামাইদের।
আরও পড়ুন-এই প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মুসলিম প্রতিনিধি-শূন্য
রবিবার থেকেই দিঘা-সহ কাঁথি মহকুমার বিভিন্ন বাজারে দেখা মিলেছে যৎসামান্য ইলিশের। হিমঘরের হওয়ায় ওজন কম। দামেও চড়া। মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, দিঘায় তিনটি, শঙ্করপুর এবং পেটুয়াঘাটে একটি করে হিমঘর রয়েছে। জামাইষষ্ঠীর জন্য সেগুলিতে ইলিশ মাছ মজুত রাখা হয়েছিল। দিঘার এক হিমঘরের মালিক বলেন, কোল্ড স্টোরেজে এক কেজি ওজনের ইলিশ খুব কম ছিল। মূলত ৪০০-৬০০ গ্রামের ইলিশ ছিল বেশি। সেগুলিই কাঁথি মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় এবং কলকাতা, হাওড়া, হলদিয়াতে গিয়েছে। দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র এক কর্তা বলেন, জামাইষষ্ঠীর জন্য বাংলায় মায়ানমার ও বাংলাদেশ থেকেও কিছু ইলিশ এসেছে। তা মূলত কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকাতেই সীমাবদ্ধ। কাঁথি মহকুমার জন্য ভরসা সেই দিঘা, শঙ্করপুরের হিমঘর। শুধু ইলিশ নয়, আনাজ এবং ফলের দামও জামাইষষ্ঠীর জন্য এক ধাক্কায় বেশ কিছুটা বেড়েছে। বেড়েছে মুরগির মাংসের দামও। দাম যাই হোক, জামাইকে তুষ্ট করতে হাসিমুখেই চলছে কেনাকাটা।