প্রতিবেদন : উন্নয়নে অপ্রতিহত বাংলা। পর্যটন থেকে শিল্প— এখন গোটা বিশ্বের কাছে বাংলাই ডেস্টিনেশন। রাজ্যে বিদেশি বিনিয়োগ ও পর্যটক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা থেকে বিশ্বের নানা প্রান্তের সরাসরি বিমান যোগাযোগ ফের চালু করার দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। সর্বনাশা বাম আমলে যারা বাংলা থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছিল, সেইসব উড়ান সংস্থাকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে মানুষের সোচ্চারে শামিল হতে বাধ্য হল বিরোধীরাও। বিরোধী দলনেতাও বাধ্য হয়েছেন রাজ্যকে সমর্থন করতে। ফলস্বরূপ ইউরোপ ও আমেরিকার মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু করার ব্যাপারে একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হল রাজ্য বিধানসভায়। এ-ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদনও জানানো হল রাজ্য বিধানসভার পক্ষ থেকে। বৃহস্পতিবার প্রস্তাবটি আলোচনার জন্য বিধানসভায় উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, একসময় কলকাতা থেকে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে নানা কারণে ওইসব বিমান সংস্থা কলকাতা থেকে উড়ান চলাচল বন্ধ করে দেয়। শতবর্ষ-প্রাচীন কলকাতা বিমানবন্দর থেকে এখন ইউরোপ-আমেরিকায় সরাসরি যায় না উড়ান। কিন্তু ফের যাতে ওইসব বিমান সংস্থা কলকাতা থেকে সরাসরি বিমান চলাতে আগ্রহী হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে আবেদন জানান অর্থমন্ত্রী। কলকাতা থেকে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি উড়ান যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন পর্যটন, ব্যবসা-সহ বিভিন্ন কারণে বহু মানুষ ইউরোপ, আমেরিকা থেকে বাংলায় আসছেন। সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু হলে পর্যটকদের যেমন সুবিধা হবে, তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্যও বাড়বে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
তিনি আরও বলেন, কলকাতা থেকে সরাসরি ইউরোপ-আমেরিকায় উড়ান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজ্য থেকে পর্যটকদেরও বিদেশে যেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ভিন রাজ্য থেকে বিদেশে যেতে গিয়ে টিকিটের খরচ এবং মালপত্র পরিবহণের খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, আমরা রাজ্য সরকারের মাধ্যমে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, তারা এমন ব্যবস্থা করুক যাতে কলকাতা থেকে বিমান চালাতে ওইসব সংস্থাগুলি ফের আগ্রহী হয়। সরকারের আনা এই প্রস্তাব সমর্থন করেছে বিরোধীরাও। বিরোধী দলনেতাও মন্ত্রীর এই প্রস্তাব সমর্থন করেন। বিরোধীরা জানান, এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের কোনও প্রতিনিধিদল পাঠানো হলে তাঁরাও তাতে শামিল হতে প্রস্তুত।