প্রতিবেদন : রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই লাল-হলুদ পতাকা হাতে মাঠে নেমে গিয়েছিলেন ভক্তরা। ডার্বির নায়ক নন্দকুমারকে রীতিমতো নাড়া দিয়ে গিয়েছে এই আবেগ। অন্যদিকে, কোচ হিসেবে অভিষেক ডার্বি জিতে খুশি কার্লেস কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat)। তিনি এই জয় সমর্থকদের উৎসর্গ করছেন।
এই মরশুমে ওড়িশা থেকে ইস্টবেঙ্গলে সই করেছেন নন্দ। আর প্রথমবার ডার্বিতে নেমেই অসাধারণ গোল করে দলকে জিতিয়েছেন। নন্দের বক্তব্য, কোচ বলেছিলেন ডার্বি ম্যাচের কথা ভেবে মাঠে নেমো না। বরং সাধারণ ম্যাচ ভেবেই খেলো। তাই ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই মাঠে নেমেছিলাম। তবে গোল করব ভাবিনি। তাঁর অসাধারণ গোলের প্রশংসায় মুখর বিশেষজ্ঞরা। নন্দ বলছেন, এমন শট নিয়মিত অনুশীলন করে থাকি। তবে ডার্বিতে গোল করার অনুভূতি অসাধারণ। ম্যাচের পর সমর্থকরা যেভাবে মাঠে নেমে আনন্দ করছিলেন, তা কোনওদিন ভুলতে পারব না। এমন উন্মাদনা আগে দেখিনি। এই পরিবেশে খেলা যে কোনও ফুটবলারের স্বপ্ন।
এদিকে, কলকাতায় পা রাখার পর থেকেই ডার্বি জিততে হবে এই দাবিটা শুনে আসছেন। তাঁর হাত ধরেই দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর ফের হাসি ফুটেছে লাল-হলুদ জনতার মুখে। কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat) বলছেন, এই জয় আমাদের দলের তরফ থেকে সমর্থকদের উপহার। এতদিন পর ওঁরা প্রাণখুলে আনন্দ করতে পারছেন, এটাই আমাকে তৃপ্তি দিচ্ছে। তবে ডার্বি জিতেই কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন না ইস্টবেঙ্গল কোচ। তিনি বলছেন, মোহনবাগানের মতো শক্তিশালী দলকে হারাতে পেরে ভাল লাগছে। তার থেকেই বেশি খুশি দলের খেলায়। ফুটবলাররা মাঠে নেমে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছে। তবে এটা একটা জয় মাত্র। আমাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া।
আরও পড়ুন-৫ গোলে জয় ডায়মন্ড হারবারের