খরিফ শস্য কেনার এবারের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লক্ষ ৫ হাজার মেট্রিক টন, সহায়কমূল্যে ধান কেনা শুরু হল জেলায়

২০২৫-২৬ খরিফ মরশুমে ধান কেনা শুরু করল নদিয়া জেলা খাদ্য দফতর। শনিবার থেকে শুরু হয়ে গেল সরকারি সহায়কমূল্যে ধান কেনার কাজ।

Must read

প্রতিবেদন : ২০২৫-২৬ খরিফ মরশুমে ধান কেনা শুরু করল নদিয়া জেলা খাদ্য দফতর। শনিবার থেকে শুরু হয়ে গেল সরকারি সহায়কমূল্যে ধান কেনার কাজ। গত বছরের ৩ লক্ষ ৩২ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা এ বছর জেলা খাদ্য সরবরাহ দফতর ধার্য করেছে ৩ লক্ষ ৫ হাজার মেট্রিক টন। জেলার চাষিদের থেকে ৩০টি সিপিসিতে এই ধান কেনা হবে। সেই সঙ্গে থাকছে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমেও ধান কেনার ব্যবস্থা। প্রশাসনিক আধিকারিকেরা ইতিমধ্যেই চাল কলগুলির সঙ্গে চূড়ান্ত কথাবার্তা বলে নিয়েছেন।

আরও পড়ুন-বেহাল রেলের দূরপাল্লার ভ্রমণ

চাষিদের স্লট বুকিংয়ের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। গত বছর লক্ষ্যমাত্রার কম ২ লক্ষ ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনে খাদ্য দফতর। এবারও শেষ অবধি অতিবৃষ্টি ও ডানার প্রভাবে লক্ষ্যমাত্রা কমার আশঙ্কা থেকে গিয়েছে। তবে নভেম্বরের শুরু থেকে ধান কেনা শুরু হলেও কাজের গতি বাড়বে ডিসেম্বর নাগাদ। ধান বিক্রি করার জন্য চাষিদের উৎসাহিত করছে প্রশাসন। এবারও একজন চাষি সরকারকে সর্বাধিক ৯০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোর ঠিক আগে অকালবৃষ্টিতে খরিফ চাষের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয় নদিয়ায়। জলের নিচে চলে যায় কয়েক হাজার হেক্টর চাষের জমি। জেলার ৩৪ হাজার চাষি ক্ষতির মুখে পড়েন। ক্ষয়ক্ষতির সেই হিসেব এখনও চলছে। জেলার বেশ কিছু ব্লক, বিশেষত তেহট্ট মহকুমায় বহু জমিতে জল জমায় ধান নষ্ট হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবছর নদিয়ায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ হয়েছে। আমন চাষ হয়েছে ১ লক্ষ হেক্টর জমিতে। আমন পাকতে নভেম্বরের মাঝামাঝি লেগে যাবে। জেলার উপ-কৃষি অধিকর্তা জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আউশ ধানের ক্ষতির হিসেব করা হচ্ছে। চাষিদের সেইমতো শস্যবিমা করানোয় সরকার জোর দিয়েছে, যাতে তাঁরা ক্ষতিপূরণ পেয়ে যান।’ আসলে ফড়েদের খপ্পরে পড়ে চাষিদের যাতে লোকসান না হয়, তা নিশ্চিত করাই সরকার বা প্রশাসনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ফড়েরাজ হঠাতে ধান বিক্রির তিন দিনের মধ্যেই তার দাম চাষিদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে বলে জানা গিয়েছে।

Latest article