প্রতিবেদন : শুক্রবার থেকে ডিরেক্টর্স গিল্ডের কর্মবিরতির ডাক প্রথমদিনই ছিল সুপার ফ্লপ। নিয়মমাফিক অধিকাংশ সিরিয়ালেরই শুটিং হয়েছিল। কয়েকটি সিনেমার কাজও হয়েছে। কর্মবিরতি উপেক্ষা করে শনিবার সকাল থেকে কাজে ফিরলেন আরও কয়েকজন পরিচালক। শুক্রবার রাতে টলিপাড়ার জট কাটাতে ফেডারেশন ও পরিচালকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ইন্দ্রনীল সেন। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকের পরই ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে টলিপাড়া। পরিচালকদের একাংশ যেভাবে একতরফা ভাবে গণছুটি নিয়েছিলেন তাঁরাও সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে কাজে ফিরছেন। ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস আগাগোড়া বলে এসেছেন কোনও সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান করা যেতে পারে। কিন্তু কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে শুটিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কখনই কাঙ্ক্ষিত নয়। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ইন্দ্রনীল সেন ফেডারেশন এবং পরিচালকদের নিয়ে বৈঠক করেন। যাঁর শুটিং নিয়ে বিতর্ক সেই সৃজিত রায়ও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক যে সদর্থক হয়েছে আভাস মিলেছিল রাতেই। পরে বেশি রাতে পরিচালকরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। সোমবার থেকে সৃজিতের ধারাবাহিকের কাজও শুরু হতে চলেছে। সেখানে তথাগত মুখোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের মতো সিনেমার পরিচালকদের পাশাপাশি সিরিয়ালের একাধিক পরিচালক এবং সহপরিচালকরা সারাদিন শুটিং করেছেন। কল টাইম অনুযায়ী ফ্লোরে এসে হাজির হয়েছিলেন তারকারা। ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস নিজে ফ্লোর পরিদর্শন করেন। কোথাও গিয়ে পরিচালকরা বুঝতে পারছিলেন যে টলিপাড়ায় তাঁদের ছাড়াও কাজ চলছে আর সেখান থেকেই হয়তো নিজেদের তাগিদেই কাজে ফিরে আসার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। অবশেষে রাজ্যের দুই মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর গভীর রাতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে শনিবার সকাল থেকেই পুরোদমে শুটিংয়ে ফিরলেন টালিগঞ্জের পরিচালকরা। ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করে কয়েকদিনের মধ্যেই জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের শুটিংও শুরু হতে চলেছে।
ডিরেক্টর্স গিল্ডের অভিযোগের কড়া জবাব দেন ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ফেডারেশনের এক্তিয়ার নিয়ে কথা বলার অধিকার গিল্ডের নেই। ফেডারেশনের প্রায় ৮ হাজার সদস্য রয়েছে। যাঁরা ফেডারেশনকে চ্যালেঞ্জ করছেন তাঁরা ৮ হাজার প্রতিনিধিকে চ্যালেঞ্জ করছেন। ২৮টি গিল্ডকে নিয়েই ফেডারেশন। এর মধ্যে একটি ডিরেক্টর্স গিল্ড। আমরা যে কোনও সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের কিছু না জানিয়েই একতরফা কর্মবিরতির ঘোষণা করা হল। আমরা সব সময়ই কর্মবিরতির বিপক্ষে। এর আগে গত বছর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই কর্মবিরতি শেষ হয়েছিল। সরকারি তরফে সারা বছর শিল্পীরা অনেক ধরনের সুবিধা পান। ফেডারেশন লেবার অ্যাক্ট খুব ভাল করে জানে। কলাকুশলীদের কীভাবে সুরক্ষা দিতে হয় তাও জানে। আগে ১৮-১৯ ঘণ্টা কাজ হত। ফেডারেশন লড়াই করে সেটা ১৪ ঘণ্টা করেছে।
আরও পড়ুন- ৪৫০ শ্রমিক পরিবারকে চা-সুন্দরী প্রকল্পে বাড়ি দেবে রাজ্য সরকার