প্রতিবেদন : অধীর চৌধুরীকে হারিয়ে জায়ান্ট কিলার হয়ে ওঠার পথে বহরমপুর পূর্ব সাংগঠনিক ব্লকের ৬ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ১৬ হাজারেরও বেশি ভোটের লিড তৃণমূলের তারকা প্রার্থী প্রাক্তন বিশ্বকাপার ইউসুফ পাঠানের বড় হাতিয়ার হয়েছে। ওই ৬ পঞ্চায়েতের দায়িত্বে ছিলেন বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল নেতা আইজুদ্দিন মণ্ডল। তাঁর কথায়, গত ৩ মে ভোটপ্রচারে এসে রাজধরপাড়া নেতাজি সঙ্ঘের মাঠে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মহিলাদের আন্তরিক উদ্যোগ দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি পাঠান ভাই। সেই ছবি ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়। মানুষ তারই দাম দিয়েছেন তাঁকে জিতিয়ে।
আরও পড়ুন-কোচবিহারে ভোট মিটতেই উন্নয়নে গতি আনতে বৈঠকে জেলাশাসক
এবার জেতার পর ইউসুফকে ফের একবার কাছ থেকে দেখতে চান লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সেই ৫০ উপভোক্তা, যাঁরা প্রত্যেকেই সেদিন তাঁদের এক মাসের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা তুলে দেন ইউসুফ পাঠানের হাতে। সেদিন নাজমা বিবি, সবিতা ভাদুড়ী, খালিদা বিবি, সোনাভান খাতুন, সুরবালা দাসদের এভাবে এগিয়ে আসতে দেখে ষাটোর্ধ্ব বিধবা এলোফা বেওয়া একছুটে বাড়ি গিয়ে দুটো পাঁচশো টাকার নোট এনে ইউসুফের হাতে তুলে দিয়ে তাঁকে আশীর্বাদ করেন। তাঁকে নিয়ে মহিলাদের উচ্ছ্বাস দেখে বারবার চোখের জল মোছেন ইউসুফ। মাথায় হাত রেখে এলোফা তাঁকে আশীর্বাদ করতেই নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার। হাজার হাজার মানুষের সামনে মঞ্চে দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। বহরমপুরে জেতার পর সাংবাদিকদের প্রথম প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ওই ৫০ উপভোক্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি তিনি।
বহরমপুর গার্লস কলেজ মাঠে দাঁড়িয়ে বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মায়েদের ভালবাসা কোনওদিন ভুলব না। ওঁদের এক হাজার টাকা আমার কাছে কোটি টাকারও বেশি। সেদিনের কথা সারা জীবন মনে থাকবে। ওঁদের জন্যও আমি কিছু করতে চাই। হাজিপাড়ার মর্জিনা বিবি বলেন, ওঁকে আর একবার কাছ থেকে দেখতে চাই। কাঁটাবাগানের শ্যামলী মণ্ডল বলেন, ক্রিকেট মাঠের নায়ক আজ বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের নায়ক। আর একবার ওঁকে অভ্যর্থনা জানাতে চাই। শিগগিরই এঁদের দাবি মেনে ৯ জুনের পর প্রাক্তন বিশ্বকাপার ইউসুফকে ফের রাজধরপাড়ায় হাজির করার আশ্বাস দিয়েছেন আইজুদ্দিন মণ্ডল।