প্রতিবেদন : আরজি করের পর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেও বড় জয় পেল অ্যাসোসিয়েশন। গত ১১ সেপ্টেম্বর ১০ ডাক্তারি পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করেছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের ক্লাস এবং হস্টেলে ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে স্বস্তি পেলেন ১০ পড়ুয়া। এদিন এই মামলায় আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan banerjee) জোর সওয়াল করেন। সাসপেন্ড হওয়া পড়ুয়াদের পুনরায় ক্লাস করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। ফলে তাদের ক্লাস করতে ও হস্টেলে ঢুকতে আর বাধা রইল না।
আরও পড়ুন- সংযুক্তিকরণের জেরে দেশে কমছে আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সংখ্যা
এদিন কলকাতা হাইকোর্টে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের একাংশের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ আনেন সাংসদ-আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan banerjee)। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী ও রাহুল ঝা। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করতে পারে না কলেজ কাউন্সিল, সাসপেন্ড করার ক্ষমতা রয়েছে শুধুমাত্র অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের। আন্দোলনকারীদের থ্রেটের মুখে পড়েই ১০ ডাক্তারি পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তাহলে এটা কি থ্রেট কালচার নয়? প্রশ্ন কল্যাণের। তাঁর কথায়, ১০ জনকে সাসপেন্ড করা হল, কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী, তা-ই জানে না কর্তৃপক্ষ। কল্যাণ এরপর বলেন, থ্রেট কালচার নিয়ে কার কী অভিযোগ কাল সব সামনে আসবে। আরজি কর-কাণ্ডের পরই থ্রেট কালচারের অভিযোগে আরজি কর, বর্ধমান-সহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে একাধিক ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীকে সাসপেন্ড করা হয়। স্বাস্থ্যবিভাগকে না জানিয়ে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। তদন্ত ছাড়া এভাবে কোনও পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেওয়া ঠিক নয় বলে জানান তিনি। এই থ্রেট কালচারের অভিযোগে জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ পাল্টা সংগঠনও করেছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের একাংশের বিরোধিতা করে।