প্রতিবেদন : পরপর দলীয় বৈঠকে কর্মীদের স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের বৈঠক থেকে তিনি মনে করিয়ে দিলেন, নির্বাচন দোরগোড়ায়, তাই প্রথমেই মানুষের কাছে যেতে হবে। বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। দলের কথা বলতে হবে। পাল্টা বিজেপির প্রতিহিংসা এবং বঞ্চনার রাজনীতির কথাও তুলে ধরতে হবে।
আরও পড়ুন-১৬ ফুট গভীর কুয়ো থেকে ২০ ঘণ্টায় উদ্ধার ২ বছরের শিশু
বৈঠকে অভিষেক জোর দেন দলীয় সংহতির উপর। এককাট্টা হয়ে লড়তে হবে। কোথাও কারওর কোনও বক্তব্য থাকলে তা দলে আলোচনা হোক কিন্তু প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে এক সুরে কথা বলতে হবে। বুথ ধরে ধরে প্রত্যেকটি বাড়িতে যেতে হবে। বোঝাতে হবে রাজ্যের প্রকল্পের কথা। বলতে হবে কেন এই প্রকল্প দেশের মধ্যে বিকল্প শুধু নয়, রেকর্ড তৈরি করেছে। অন্য রাজ্যগুলিতে যখন জিডিপি এবং কর্মসংস্থান নিম্নগামী, তখন বাংলা ব্যতিক্রম। কেন্দ্রীয় সরকারও বাংলার চেয়ে পিছিয়ে। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। তৃণমূল কংগ্রেসের বাংলা। এই কারণে বাংলার প্রকল্প এখন গোটা দেশ নকল করছে। বিরোধীরা বাধ্য হচ্ছে নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রতিশ্রুতি দিতে। এটাই বাংলার সাফল্য। কেন্দ্রের বঞ্চনা এখন প্রকাশ্যে। ১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা বকেয়া দিচ্ছে না। মানুষকে বোঝাতে হবে বঞ্চনার নামে আসলে স্বৈরাচারী রাজত্ব চলছে। এই রাজনৈতিক দল দেশের শত্রু। বাংলার শত্রু। হারাতে হবে। ভোটে হারাতে হবে। তাই গত লোকসভাতেও যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল, তাদের কাছেও যেতে হবে। বোঝাতে হবে। বুথ ধরে ধরে এগোতে হবে। টার্গেট থাকবে প্রতি বুথে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট। তাহলেই জয় নিশ্চিত। এজেন্সি দিয়ে ওরা জিততে চায়। আর আমাদের ভরসা মানুষ। এদিনের বৈঠকে ছিলেন প্রার্থী কালীপদ সরেন, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো, দেবনাথ হাঁসদা, দুলাল মুর্মু, খগেন্দ্রনাথ মাহাত, রাজীবলোচন সরেন প্রমুখ৷