পঞ্চায়েত (Panchayat) ভোট আর বেশি দূরে নয়। জেলায় জেলায় শাসকদলের নেতা নেত্রীরা সর্বস্তরে নিজেদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। মঙ্গলবার তমলুকের শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বল্লুকপুর ২-এ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) স্পষ্ট করেই বলেন, নোটবন্দির সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষ নোট বদল করতে করতে মারা গেল। এই কেন্দ্রীয় সরকারটা বেঁচে থাকার সরকার নয়। তৃণমূলের উন্নয়নের দিকে তাকান।জীবনের কোনও না কোনও সময় আপনি সরকারের সাহায্য পাচ্ছেন।আর ওরা পেট্রল থেকে ডিজেল, কেরোসিন, সার, গ্যাস শুধুই ওদের দাম বাড়ানোর রাজনীতি।অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন একদিকে উন্নয়ন, আরেক দিকে সামাজিক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। তাই একদিকে যখন রাস্তাঘাট, জল, বিদ্যুতের উন্নয়ন হচ্ছে, ৬০ থেকে ৭০ টা প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন মানুষ। রূপশ্রী, কন্যাশ্রী স্বাস্থ্যসাথী, লক্মীর ভান্ডার। কুণালের স্বগোক্তি, এত বড় দল ভুলত্রুটি তো থাকবেই ।ভুল করলে সেটা শুধরে নেওয়া হচ্ছে অন্যায় করলে শাস্তি। যারা স্বচ্ছতার সঙ্গে জিতে কাজ করে এসেছেন মানুষের আশীর্বাদে ফের তারা জয়ী হবেন। আর যদি কোথাও কোনও অভিযোগ থাকে তবে দল তা অবশ্যই বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন-ভারতে নাশকতার ছক: হাওয়ালায় টাকা পাঠিয়েছিল দাউদ, রিপোর্ট এনআইএ-র
কুণালের সাফ কথা, যখন লড়াই চলছে তখন বিজেপির সঙ্গে গোপনে হাত মেলাচ্ছে বাম আর কংগ্রেস। একার ক্ষমতা নেই তাই চুপিচুপি ভেতরে ভেতরে হাত মেলাচ্ছে।ভেবে দেখুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নারী শক্তি, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নারী শক্তি, শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা নারী শক্তি। দেশের আর কোনও রাজ্যে এই ছবি দেখাতে পারবেন না। আসলে হলদিয়ার প্রতিটা ঘরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন।
২০২০ পর্যন্ত বলল বিজেপি হটাও, আর এখন সিবিআই থেকে বাঁচতে শুভেন্দু বিজেপির কোলে দোল খাচ্ছে। সিবিআই আগে ওকে জেলে ভরুক। কদিন বাঁচাবে বিজেপি!কুণালের হঁশিয়ারি, তৈরি থাকুন শুভেন্দু।জেলে ঢুকতেই হবে।মনে রাখবেন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে।আদি-নতুন সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব আমরা।