পর পর হাতছাড়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরা৷ কিন্তু এর ফলেও বিশেষ কোনও সমস্যাই হয়নি সিপিএমের৷ সিপিএমের সম্পত্তি চোখ কপালে তুলে দিতে পারে এই যুগের শিল্পপতিদেরও৷
বিধি অনুসারে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতি বছরই দেশের সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দলকে নিজেদের আয়, ব্যয়, সম্পত্তির হিসাব জমা দিতে হয়। নিয়মমাফিক কিছুদিন আগে সব দলই ২০১৯-২০ সালের হিসাব জমা দিয়েছে কমিশনে৷ কমিশনের অডিট রিপোর্ট বলছে, ওই সময়সীমায় সিপিএমের সম্পত্তি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬৯ কোটি টাকার। কমিশনে জমা দেওয়া নথিতে সিপিএম স্থায়ী সম্পত্তি, বিশেষ খাতে জমা টাকার অঙ্ক সবকিছুই জানিয়েছে ৷
শুধু তাই নয়, বাজারে যথেষ্ট পরিমান বিনিয়োগও রয়েছে সিপিএমের। ৭২ কোটি টাকার বেশি ঋণ রয়েছে সিপিএমের সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সম্পত্তির যে হিসেব দিয়েছিল সিপিএম, তাতে ৫১০ কোটি ৭১ লক্ষের সম্পত্তি দেখানো হয়েছিল। যার মানে এটাই হয় ক্ষমতা হারিয়েও এক বছরে সিপিএমের সম্পত্তি বেড়েছে ৫৮ কোটি টাকা। শুধু সম্পত্তির হিসাবে নয়, বার্ষিক রোজগারেও বাকিদের তুলনায় অনেক এগিয়ে সিপিএম। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তাদের রোজগার দেখানো হয়েছে ১৫৮ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা।
প্রসঙ্গত বার্ষিক আয় এবং সম্পত্তির পরিমাণে বিজেপি-র ত্রিসীমানায় কেউ নেই৷ ২০১৯-২০ সালে পদ্ম দলের আয় ছিল ৩,৬২৩ কোটি টাকা। আর ওই বছরের শেষে তাদের সম্পত্তির পরিমান হয়ে যায় ৪,৮৪৯ কোটি টাকা।