সিকিমে এখনও আটকে হাজার পর্যটক, উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজ্য প্রশাসন

কিন্তু হঠাৎ একাধিকবার জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। এদিন তিস্তাবাজার থেকে কিছু বাসিন্দাকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

Must read

প্রতিবেদন : বৃষ্টি, নদীর জলস্ফীতি, সেই সঙ্গে ধস— দুইয়ের জেরে সিকিম ও উত্তরবঙ্গে ব্যাপক বিপর্যয়। লাগাতার ভারী বৃষ্টি এবং ধসের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তর সিকিমে হাজারের বেশি পর্যটক এখনও আটকে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। আটকদের উদ্ধারে আগেই সিকিম সরকারের সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এবার চালু করা হল হেল্পলাইন ডেস্ক। দুজন আধিকারিকের ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে— রবি বিশ্বকর্মা- ৮৭৬৮০-৯৫৮৮১ এবং পুষ্পজিৎ বর্মণ- ৯০৫১৪-৯৯০৯৬।

আরও পড়ুন-তৃণমূল ভবনে উপনির্বাচনের তিন প্রার্থী, নিলেন প্রতীক

সিকিমে আটকে-থাকা পর্যটকদের জন্য আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টেলিফোনে উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছ থেকে খবর নেন। আগাগোড়াই পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে নবান্ন। সিকিম প্রশাসনের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। রাজ্য পর্যটন কর্তারা নিয়মিত পর্যটকদের বিষয়ে তথ্য পাঠাচ্ছে রাজ্য সরকারের কাছে। সব পর্যটককে যাতে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা যায় সেবিষয়ে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাত এবং একের পর এক ধসের জেরে বিপর্যয় নেমে আসে সিকিমে। ধস নেমে সেতু ভেঙে লাচুং, লাচেন-সহ সিকিমের বহু এলাকার সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পুরোটা না হলেও সিকিমের কিছু এলাকায় রাস্তা থেকে ধ্বংসস্তূপ সরানো হয়েছে। আটকে থাকা পর্যটকদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন প্রশাসনের কর্মীরা। পর্যটকেরা সকলেই সুস্থ রয়েছেন। ভারী বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গেও। বিপর্যস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তবে কালিম্পংয়ের মানসং থেকে ১৭ মাইল, গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি যাতায়াতের একটি পথ রয়েছে। তিস্তা ভ্যালি হয়েও অপর একটি রাস্তা রয়েছে। ওই দুটি রাস্তা দিয়ে সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে দুই রাজ্যের প্রশাসন। এছাড়াও আকাশপথে পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর বাংলোর কাছে সরকারি ভবনে আগুন

তিস্তাবাজারে জাতীয় সড়ক ছুঁয়ে বইছে তিস্তার জল। পলিতে ঢাকা পড়েছে পিচের চাদর। নদীর দু’পারে থাকা বাড়িঘরের ভেতর জল ঢুকে বিপন্ন করেছে জনজীবন। দুপুরে বৃষ্টি একটু কমলে জলস্তর নামতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ একাধিকবার জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। এদিন তিস্তাবাজার থেকে কিছু বাসিন্দাকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। চমকডাঙ্গি, লালটংবস্তিগুলির বাড়ি থেকে অবশ্য জল নেমেছে। গজলডোবার তিস্তা ব্যারাজ থেকে জলছাড়ায় চিন্তা বেড়েছে ময়নাগুড়ির চ্যাংমারি, চাপাডাঙা এলাকার বাসিন্দাদের। উত্তর সিকিম এবং কালিম্পঙে ভারী থেকে অতি-ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকায় নতুন করে তিস্তা ত্রাস হয়ে উঠতে পারে। এদিন কালিম্পংয়ের জেলাশাসকের নির্দেশে চিত্রেতে প্রশাসনিক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের পরই তিস্তাবাজারের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

Latest article