সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : মুখ্যমন্ত্রী নিজে জমির সরকারি নথি দিয়ে এসেছেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) হাতে। তাতেও দমবার পাত্র নন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এবার কার্যত উচ্ছেদ-নোটিশ পাঠানোর হুমকি দিলেন। জয়েন্ট রেজিস্ট্রার ও এস্টেট অফিসারের তরফে শুক্রবার এক নোটিশ পাঠানো হয় অমর্ত্যর (Amartya Sen) শান্তিনিকেতনের ঠিকানায়। তাতে বলা হয়, ২৪ মার্চ বা তার আগে শোকজ পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হবে কেন নোবেলজয়ীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের উচ্ছেদ-আইন প্রযোজ্য হবে না? কারণ তিনি অন্যায়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল করে আছেন। পাশাপাশি, ২৯ মার্চ বিকেল পৌনে পাঁচটার মধ্যে অমর্ত্য বা তাঁর প্রতিনিধিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ভবনের সভাগৃহে নথি-সহ দেখা করতে হবে। অমর্ত্য বা তাঁর পক্ষে কেউ গরহাজির হলে শুনানি ‘একতরফা’ হিসেবে ঘোষিত হবে এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
কর্তৃপক্ষের এই নোটিশে কেন্দ্রীয় আইন, ক্যাগ রিপোর্ট, এক্সপার্ট কমিটির নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিপোর্ট, বিশ্বভারতীর সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক, ছাত্র সবার জন্য জবরদখল মুক্ত রাস্তা ইত্যাদির জন্য ওই ১৩ ডেসিমেল জায়গা জবরদখল মুক্ত করা জরুরি, বলে মন্তব্য করা হয়েছে। নোটিশে লেখা হয়েছে, এক দশমিক ২৫ ডেসিমেল সম্পত্তি অমর্ত্যর পিতা আশুতোষ সেনকে ৯৯ বছরের জন্য দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়াও কম-বেশি ১৩ ডেসিমেল সম্পত্তি অধিকার করে রেখেছেন অমর্ত্য।
আরও পড়ুন: আসানসোলে কম্বলকাণ্ড: গ্রেফতার বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি