কলেজে ধর্ষণ : অভিযুক্তদের সরানো হয় আগেই, ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার দুর্বৃত্তরা

Must read

প্রতিবেদন : কসবায় (Kasba Gang Rape) এক পড়ুয়ার গণধর্ষণের অভিযোগ পেতেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তৎপরতার সঙ্গে মূল অভিযুক্ত-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবারই তাদের আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধে অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে অপরাজিতা বিলের পক্ষেও ফের জোরালো সওয়াল করল দল। ঘটনায় মূল অভিযুক্তের সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সম্পর্ক নিয়ে যে মিথ্যে প্রচার চলছে তথ্য প্রমাণ দিয়ে সেই অভিযোগ ওড়ালেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি।

এদিন, তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, আমরা এই ঘটনায় অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি। ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে আছি। তাঁদের সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই। আমরা চাই মেয়েটি ন্যায় বিচার পাক। তার ওপর যে শারীরিক ও মানসিক মানসিক অত্যাচার হয়েছে, একজন নাগরিক হিসেবে আমরা তার সঙ্গে রয়েছি। যে বিজেপি এই ঘটনায় রাজনীতি করছে তাদের বলছি, অপরাজিতা বিল দশ মাস আগে সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়েছে, সেই বিল কে আটকে রেখেছে? সাধারণ মানুষের দাবি এই বিল আইন হোক। আপনারা এই বিলকে সম্মতি জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠান। কোনও মেয়ের শরীর নিয়ে রাজনীতি হয় না। তোমার রাজ্যে ক’টা হচ্ছে, আমার রাজ্যে ক’টা হচ্ছে, এই ধরনের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা যায় না। অপরাজিতা বিল একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ দাবি করেছে। কেউ কেউ এই অপরাধকে সংস্কারি বলেছে। এই ধরনের অপরাধীকে মালা পরিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এই ধরনের অপরাধকে প্রশ্রয় দেয় না।

আরও পড়ুন-একসঙ্গে ৫ বাঘের মৃত্যু কর্ণাটকে! নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য এই কুৎসিত ঘটনার নিন্দা করে বলেন, গোটা ঘটনায় নির্যাতিতার পাশে থাকা ও অভিযুক্তদের শাস্তিই একমাত্র দাবি হওয়া উচিত। কিন্তু কেউ কেউ এই নিয়ে দল, মুখ্যমন্ত্রী ও টিএমসিপিকে কালিমালিপ্ত করতে ব্যস্ত। তথ্য প্রমাণ পেশ করে তিনি যাবতীয় মিথ্যে প্রচারের জবাব দেন। বলেন, ওই কলেজে কয়েক বছর ধরে টিএমসিপি-র কোনও ইউনিট নেই। ২০১৯ সালে ছাত্রাবস্থায় ওই ছেলেটি জেলা কমিটির কোনও সামান্য পদে ছিল। ২০২২ সালে তৈরি জেলা কমিটিতে তার নাম ছিল না। ২০২৩ সালে যে জেলা কমিটি তৈরি হয়েছিল তাতেও সে ছিল না। ছেলেটি তৃণমূল করে, না সিপিএম করে, না বিজেপি করে, সেটা প্রশ্ন নয়, সে একজন ধর্ষক— এভাবেই তার বিচার করতে হবে, শাস্তি দিতে হবে। আজ বিজেপি প্রশ্ন তুলছে, আমি প্রশ্ন করছি যখন রাজ্যপালের নামে একই অভিযোগ এসেছিল তখন ওরা কোথায় ছিল? তোমরা সত্যিই যদি ধর্ষণ রুখতে চাও তাহলে অপরাজিতা বিল কেন পাশ করাচ্ছ না।

দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, আমরা কড়া ভাষায় নিন্দা করছি (Kasba Gang Rape)। যত অপরাধ আছে তার মধ্যে সবথেকে কুৎসিত অপরাধ হল মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতন। নাম, পদবি, জাতি, ধর্ম বাদে এদের শাস্তি হওয়া উচিত। পুলিশকে অনুরোধ, আপনারা সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবহার করুন। অপরাজিতা বিলে তো এখনও মান্যতা দেয়নি। তাই এখন যে আইন আছে সেই আইনেই শাস্তির ব্যবস্থা করুন। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের এই নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার নেই। আজ ছবি দেখানো হচ্ছে এর সঙ্গে ওর ছবি। সিপিএম আপনারা কি জানতেন নেতা-মন্ত্রীরা এ-ঘটনা ঘটিয়েছে? সুশান্ত ঘোষের যে ভিডিও বেরিয়েছে তাহলে সেই অপরাধে বিমান বসুও দোষী।

Latest article