তুহিনশুভ্র আগুয়ান, হলদিয়া: একদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ এবং অন্যদিকে টানা তিনদিনের ছুটি। বছরের শুরু থেকে পর্যটকশূন্য দিঘায় ঢল নামে পর্যটকদের। এই আশাতেই দিন গুনছিলেন পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। অবশেষে তাঁদের মুখে হাসি ফুটেছে। শুক্রবার থেকে টানা তিনদিনের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নামল সৈকতসুন্দরী দিঘায়। এবছর দিঘায় পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বসন্তোৎসব। সেই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই পর্যটকদের আগমন শুরু হয়ে যায়। রবিবার বিকেল পর্যন্ত ভিড়ে টইটুম্বুর ছিল দিঘা। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে তিনদিনের টানা ছুটি মিলতেই ঘর ছেড়ে কাছেপিঠে বেরিয়ে পড়ে বাঙালি। সেক্ষেত্রে তাদের অন্যতম ডেস্টিনেশন হিসেবে অনেকেই বেছে নিয়েছেন হয়ে ওঠে দিঘা।
আরও পড়ুন-রঙের আমি রঙের তুমি, রঙবাজিতে যায় চেনা
অধিকাংশ হোটেল এবং রিসর্ট রবিবার পর্যন্ত প্রায় সম্পূর্ণ বুকিং ছিল। পর্যটকদের জন্য বহু হোটেল ব্যবস্থা করে তিনদিনের প্যাকেজের। যেখানে খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি কাছেপিঠে ঘোরানোর ব্যবস্থাও করেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। তাতে আরও আগ্রহ দেখা দেয় পর্যটকদের মধ্যে। দিঘা- শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানান, ‘দুর্গাপুজোর পর থেকে দিঘায় পর্যটকদের সেভাবে ভিড় ছিল না। চলতি বছরের শুরুর দিকে আরও ভাটা পড়ে তাতে। তবে দোলের তিন দিনের ছুটিতে বেশ ভালই পর্যটকদের আগমন ঘটে। এতে হোটেল মালিকেরা কিছুটা হলেও প্রাণখুলে নিঃশ্বাস নিতে পেরেছেন।’ দিঘায় অন্যতম আকর্ষণ হল জগন্নাথ মন্দির। মন্দিরের দরজা সাধারণের জন্য খোলা না হলেও গেটের বাইরে থেকে ছবি তোলেন বহু পর্যটক। রেল স্টেশনের কাছেই এই মন্দির হওয়ায় পায়ে হেঁটেই তাঁরা পৌঁছে যান জগন্নাথ মন্দিরের সামনে। এরপর নবনির্মিত নেচার পার্কেও ঘুরে দেখেন তাঁরা। রবিবারের ভিড়ে যাতে কোনওরকম দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য ওয়াচ টাওয়ার এবং পুলিশি নিরাপত্তা ও নজরদারি ছিল চোখে পড়ার মতো।